এসডি রুবেল, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের আকদিয়া গ্রামের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত আয়ুর্বেদিক পল্লি চিকিৎসক খোকন হুজুরের দু মুখি বক্তব্যে তিন সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা।
১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরের পর সদর উপজেলার কড়োলা ইউনিয়নের আকদিয়া বাজারের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত আয়ুর্বেদিক পল্লি চিকিৎসক খোকনের দাওয়াই খানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক মুনির খান, রইস উদ্দিন টিপু, ও রফিকুল ইসলাম। এসময় আগে থেকেই ওত পেতে থাকা খোকন ডাক্তারের অনুসারীরা ভূয়া সাংবাদিক বলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ বলে আখ্যায়িত করে অপমান অপদস্ত করে গায়ে হাত তোলেন। একপর্যায়ে তাদের পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেন।
ঘটনার সময় ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, খোকন ডাক্তার খুব উত্তেজিত হয়ে বলছেন প্রায়ই আমাকে ঢাকা, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকার সাংবাদিক রা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, আমার দাওয়াই খানায় জেলার সাবেক পুলিশ সুপার জসিম সাহেব, সদর থানার ওসি ডিসি, ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে দেখে গেছেন, আমি সরকারি সকল নিয়ম কানুন মেনেই মানুষের চিকিৎসা ও ঝাড়ফুক দিয়ে থাকি। যদিও আমি এসকল বিষয়ে একটু কম অভিজ্ঞতা। তার পরও যদি লোকজন আসে আমি কি করবো।
এসময় খোকন ডাক্তারের কাছে স্থানীয় একব্যাক্তি চাঁদার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, না সাংবাদিকরা কোন টাকা চাঁদা দাবি করেনি। এর কিছুক্ষণ পরেই ভিডিওতে দেখা যায় খোকন ডাক্তারের ছেলে সহ তার পোষা দলবল নিয়ে সাংবাদিক দের ডেকে ক্যামেরায় বক্তব্য দিচ্ছেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন।
এসময় আগে থেকে ওতপেতে থাকা খোকন ডাক্তারের অনুসারীরা সাংবাদিক দের ধাক্কা মেরে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে বিছালি পুলিশ ফাঁড়িতে দিয়ে দেয়। পরে তাদেরকে নড়াইল সদর থানা নিয়ে এসে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাংবাদিক দের বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় ১৫ জানুয়ারি রবিবার বিচারিক আদালতে জামিনে মুক্তি পান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply