এসডি রুবেল, ব্যুর চিফ নড়াইল :
নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের মিরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আয়ুব হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতায় ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুকৌশলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধ রেখে স্থানীয় এলাকাবাসীকে না জানিয়ে গত ১৫ মার্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড় অনুষ্ঠান করে ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
এছাড়া শিক্ষক আয়ুব হোসেনের ইন্ধনে ছাত্র ছাত্রীদের পরস্পরের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে কিশোর গ্যাং তৈরি করতে উৎসাহিত করছেন। আর এ কারনেই দিনদিন বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার মানসহ সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
১৯ মার্চ (রবিবার) সকাল ১১ টায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের কয়েকশত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দের সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন স্থানীয় কাউকে না জানিয়ে ইতিমধ্যে নিম্ন মানের মাল দিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেয়।
এমনকি বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের হিসাব না দেওয়া, ছাত্রছাত্রীদের রেজিশেনের সময় নাম ভূল করে পরে টাকার বিনিময়ে সংশোধন করা, এস এসসি পরীক্ষার সময় বোর্ডের নির্ধারিত টাকারবেশী ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে আদায়,সহ নানা বিধ অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় এলাকাবাসী আরও জানান, তার বিরুদ্ধে এর আগেও সদর উপজেলার তুলারামপুর ও দত্ত পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকা কালিন বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে বিভিন্ন নেতা ও প্রভাবশালী দের ছত্র ছায়ায় টাকা পয়সা খরচ করে সর্বশেষ মিরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকরিতে যোগদান করে। ইতিমধ্যে গত কয়একদিন আগে ইউনিয়নের পলোইডাঙ্গা ও মিরাপাড়া দুটি গ্রামের মধ্যে তার ইন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজান কাজীর নেত্রীত্বে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দেয়। এক পর্যায়ে ১৫ মার্চ দুই গ্রামের মধ্যে বেশ কিছু অনাকাঙ্কিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। এতে উভয় গ্রামের বেশ কিছু সংখ্যক লোকজন আহত হয়।
এ ঘটনায় মিরাপাড়া সহ পার্শ্ববর্তী আরও দুই গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে তার নৈরাজ্য স্বেচ্ছাচারিতা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নষ্ট ও উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় প্রধান শিক্ষক আয়ুব হোসেনের অপসারণের দাবিতে মানব বন্ধন করে। এবং পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়ুব হোসেনের অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply