আলামিন তালুকদার/ইমরান হোসেনঃ
যেকোন নাটক বা সিনেমার কাহিনীকে হার মানিয়ে পর্দার অন্তরালে থেকে ভিলেন স্বরূপ যে মানুষটি দাপুটে ভাব নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াতো, যে নিজেকে বিশাল শক্তিধর মনে করে যখন তখন যে কাউকে ফাঁসিয়ে দিত আর অন্তরালে চালিয়ে যেত মাদকের সম্রাজ্যের গডফাদার মোঃ মোবারক হোসেন ফরাজী। সে বড় মাপের একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী, গ্রাম- বাশবাড়ী, থানা ও জেলা নরসিংদী। ঢাকা অভিজাত এলাকায় বসবাস করে এবং ঢাকা মেট্রে ঘ-১১-১৬৫৯ নাম্বারের একটি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ী ব্যাবহার করে কক্সবাজার থেকে গাড়ীর নিচে রডের সাথে বেধে প্রতি সপ্তাহে ২০/২৫ হাজার ইয়াবা নিয়ে আসে এবং এই মরনঘাতী ইয়াবা ছড়িয়ে দেয় ঢাকা শহরে। সে উত্তরা ৫নং সেক্টরে বসবাসরত অবস্থায় প্রথমে তার ড্রাইভার রুসতম মিয়া বিষয়টি এপিবিএন এর পুলিশ আমীরকে জানাইলে আমীর সুকৌশলে মোবারকের সাথে যোগাযোগ করে ২লক্ষ্য টাকার বিনিময়ে রফদফা করে। পরবর্তিতে বিষয়টি র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর কানে গেলে মোবারক রাতের অন্ধকারে উত্তরার বাসা ছেড়ে বসুন্ধরা এলাকার কোথাও বাসা নেয় বলে জানা যায় এবং তার ব্যবসা চালিয়ে যায়, ইতিমেধ্যে তার ব্যবসার সুবিধার জন্য ঢাকা প্রেস ক্লাব নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান হয় টাকার বিনিময়ে। এবং একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল এর স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে তার অবৈধ ব্যবসার রাজত্ব বৃদ্ধি করে, ঢাকাসহ ঢাকার আশে পাশে একটি মাদক ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট গড়ে তুলে, প্রশাসনের কানে তার তথ্য যাওয়ার পর প্রায় তিন মাস প্রচেষ্টার পর নরসিংদীর যোগ্য পুলিশ সুপারের মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবহিকতার মধ্যে ডিবি টিম এস আই খোকন চন্দ্র সরকার এর নেতৃত্বে এই ইয়াবার গডফাদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সারাদিন ব্যাপি জিজ্ঞাসা চলে এবং মামলার প্রস্তুতিও চলছিল, ইতিমধ্যে এই মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়াতে কিছু দালাল চরিত্রের সুপারিশকারী দেখা যায়, কিন্তু পুলিশের ভাষ্য, তাকে উপযুক্ত জিজ্ঞাসা করে, আইন আনুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply