আল-আমিন হোসাইন; নাজিরপুর(পিরোজপুর)প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে অগ্নি সংযোগ ও গুলিবর্ষনসহ পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দু’পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। রোববার ০৩ জানুয়ারি বিকেলে ওই ইউনিয়নের চালিতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। দু’দফা সংঘর্ষে হামলাকারীরা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে স্থাপনকরা স্টেজে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় ৩ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খানকে লাঞ্ছিত করা হয়।
জানা যায়, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনেই দ্বিতীয় দফা হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ প্রত্যাশী বর্তমান সভাপতি আক্তারুজ্জামান গাউস ও সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন সজল গ্রুপের সঙ্গে সভাপতি পদ প্রত্যাশী সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী আল-আমীন খান এ দু’গ্রুপের মধ্যে দু’দফা এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিকেল সাড়ে ৩টা ও পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর বাঘাজোড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোশারেফ শরীফ জানান, আমরা কিছু লোক বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সম্মেলন স্থলে এসে দেখি কিছু সন্ত্রাসীরা সম্মেলনের স্টেজে অগ্নিসংযোগ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। আমরা এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা আমাদেরও ওপরও হামলা করে।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানান, তিনি সম্মেলন পরিচালনার জন্য মাইকে কথা বলছেন। তখন কিছু অপরিচিত সন্ত্রাসীরা স্টেজের দিকে এসে অগ্নিসংযোগ, বোমা নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি, ব্যানার ও প্রায় ২ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করে।
আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ প্রত্যাশী মো. আল-আমিন খান জানান, ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ইউনিয়ন আ’লীগের বর্তমান সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান গাউসের নেতৃত্বে সভামঞ্চে হামলা, অগ্নি সংযোগসহ গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান খালেক ঘটনাস্থলে এসে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
এ সময় আমরা এগিয়ে গেলে তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনী আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ৭০-৮০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে হামলার সঙ্গে নিজেকে জড়িত থাকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান গাউস বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী মো. আল-আমিন খানের নেতৃত্বে বিকেলে প্রথম হামলা হয়। এতে আমার কমপক্ষে ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরের হামলা কারা কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) জাকারিয়া হোসেন জানান, কোন গুলি বা বোমা হামলার ঘটনা ঘটেনি। উভয়পক্ষের কর্মীদের হামলায় কিছু চেয়ার ভাঙচুর হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply