হাবিব সরকার স্বাধীন/ নজরুল ইসলাম :
বাঞ্ছারামপুর থানার ১০ নং রুপসদি ইউনিয়ন হোগলাকান্দি গ্রামের ভন্ড প্রতারক মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন শিশু নির্যাতন প্রতারণা সহ সংবাদকর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়। প্রভাবশালীদের ছাত্র ছায়ায় নানান কুকর্মের সাথে জড়িত প্রতারক মাইনুদ্দিন। তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কিশোর গ্যাং সহ কয়েকটি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে।যাদেরকে ভাড়া করে সকল কিছু করা সম্ভব।
অনুসন্ধানে জানা যায় সপ্তাহখানেক আগের কথা, ভন্ড মাইনুদ্দিন তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে এমন ভাবে নির্যাতন করেছেন একাত্তরের বর্বরতা কর্মকাণ্ড নির্যাতনে ফুটে উঠেছে। মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে বলা হয়েছে মাইনুদ্দীনের স্ত্রী থানা অভিযোগ করার পরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নাকি তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। এমনটা জানিয়েছেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তারা। অথচ নিজ বাড়িতে দোতলা বসে তার প্রতারণা বাণিজ্য চলমান রেখেছে। এ বিষয়ে থানার যোগাযোগ করা হলে ব্যবস্থা নিচ্ছি বিষয়টা দেখছি তালবাহানা, আশ্বাস দিয়েছে তবুও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতারক মাইনুদ্দিনের অপরাধ কর্মকাণ্ড একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।তবু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এলাকার দায়িত্বতা বিট ইনচার্জ সেলিম এর সাথে কথা হলে তিনি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলেন এড়িয়ে যান।অনুসন্ধানে জানা যায় প্রতারক মাইনুদ্দিন ১৩ বছর আগে ছিলেন দিনমজুর। তিনি হঠাৎ কোটিপতি তার আয়ের উৎস কোথায়? আম জনতার দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে খতিয়ে দেখতে হবে মূল রহস্যটি কি? কৃষক মাইনুদ্দিন মাঝে মাঝে পরিচয় দেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিশেষ সম্পাদ। অবাক ইতিমধ্যে এলাকাবাসী বলাবলি করছেন মাইনুদ্দিন প্রমান করেছে টাকা থাকলে সবই সম্ভব। এখন তিনি কামরুকখা থেকে বিদ্যা শিখে এসেছেন তার বাহিনী দিয়ে এমনটাই এলাকার রটাচ্ছেন।
এখন তিনি মস্ত বড় ক্ষণকার, মূল তথ্য হলো তার পরিচয় দেবে নেই কোন সার্টিফিকেট। আজব অদ্ভুত শিক্ষিত সমাজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কাঠের চশমা পড়তে সময় লাগছে না মাইনুদ্দিন খনকার এর। এলাকায় প্রকাশ্যে বসে চালাচ্ছেন রমরমা বাণিজ্য।বাঞ্ছারামপুর নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি সাথে ফোনে মাইনুদ্দীনের কুকর্ম ও প্রতারণা বিষয়ে আলোচনা হলে পরিস্থিতি খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেল কিছুই হয়নি।আলাদিনের গল্প হার মেনেছে। বাঞ্ছারামপুর থানার মাইনুদ্দিন নামক এক প্রতারকের কাছে,তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ঝাড় ফুঁক, তাবিজ কবজ, আয়না দর্পন ও জ্বীনের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় হোগলা কান্দি গ্রামে নামক স্থানে তার বসত ওখানে গড়ে তুলেছে এক বিশাল সাম্রাজ্য। ওই কবিরাজ নামধারী ভন্ড ব্যক্তি বাংলা ইংরেজি আরবি কোন লেখাপড়ায় সে জানে না।দীর্ঘদিন ধরে সমাজের সহজ সরল মানুষেরা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে তাদের কষ্টার্জিত সর্বস্ব খোয়াচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ আছে।
এসকল মিথ্যা তথ্যে আর ভন্ডামিতে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে কলহ বিবাদ, তৈরি হচ্ছে শত্রুতা। আর এই শত্রুতা থেকে সংগঠিত হয় মামলা ও হামলার মতো জঘন্য অপরাধ। তাছাড়া এই ভন্ড কবিরাজ প্রতারক নিজেকে সক্রিয় রাখতে সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদেরকে কৌশলে ব্যবহার করে প্রতারণার কাজে কোথাও বাধাগ্রস্থ হলে প্রতিপক্ষকে তাদের অনুসারীদের দিয়ে হুমকি ও মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। প্রশাসনিক তৎপরতা কম থাকায় এই ভন্ড কবিরাজের দুর্বি সন্ধি কার্যক্রম মানুষ ঠকানো চাঁদাবাজি করতে সহজ হয় ইতিমধ্যেই সে অত্র অঞ্চলে ৩/৪ টি বাড়ির মালিক অথচ ১২ বছর আগে সে নৌকার চালাতেন মাঝে মাঝে কৃষকের কাজ করে জীবন চালাত। সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম পিতা মোঃ আবুল মোল্লা গ্রাম মরিচাকান্দি। তার কাছ থেকে নগদ ৬১ হাজার টাকা নিয়েছে যে তার রক্তে জ্বীনের আছর করেছে সে ছয় মাসের ভিতর মারা যাবে এই বলে, কিন্তু কোন ফল পাইনি। আকলিমা খাতুন স্বামী আসলাম প্রবাসী, বাঞ্ছারামপুর। হোগলাকান্দি গ্রামে রয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী ইজ্জতের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।
এমনই অজস্র অভিযোগ রয়েছেন মাইনুদ্দিন খনকারের বিরুদ্ধে। তারাকান্দি আলতাফ বউ চলে আসবে বলে ৩ হাজার টাকা নিয়েছে সে এখন বলছে আমার কোনই কাজ হয়নি। প্রতিবেদক কে বলেন এই ভন্ড কবিরাজ আমার ফুফুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে এর বাড়ি ভিতরে গোপন আস্তানা আছে সেখানে সে অল্প বয়সী মহিলাদেরকে উলঙ্গ করে গোসল করায় শুধু তাই নয় সে বাঘের চামড়া, হরিণের চামড়া, বাঘের দুধ, পতিতা মেয়েদের কবরের হাড্ডি, সিঁদুর এ ধরনের অনেক দুষ্প্রাপ্য জিনিস দিয়ে তাবিজ দিবে বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এভাবে সুচিকিৎসা দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহজ সরল নারী পুরুষদের বোকা বানিয়ে প্রবাসী চাকরি, বিয়ে, জায়গা জমি সংক্রান্ত সমস্যা, স্বামী-স্ত্রীর কলহ, হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, প্রেম ভালোবাসা মুখ দেখে বলে দিতে পারে সব কিছু সহ নানা সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে ইতিমধ্য সে অনেকের কাছ থেকেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও নকল করা, শরীরে জ্বীন ধারণ, উপকারী গাছ ব্যবহার করে, তাবিজ কবজের বই সামনে রাখা, আয়নার দিকে তাকিয়ে কথা বলা, শনিবার ও মঙ্গলবার দিন ধার্য্য করা, ফুঁক দিয়ে কেমিক্যালের মাধ্যমে কাগজ জ্বালানো ও হাড়ি ফোটানো, হাত ও চোখ দেখেই কালো জাদু বা তদবির বানিজ্যের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। প্রথমে কালো জাদু কাঁটা, বাড়ী থেকে তদরির তোলা প্রভৃতি ভয় দেখিয়ে অগ্রিম টাকা দাবি করে।
এ ব্যাপারে ভন্ড কবিরাজ মাইনুদ্দিন খনকার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি নিজে কোন লেখাপড়া জানিনা নিজের নাম সই করতে পারিনা সবকিছুই আমার জ্বীনে করে। লাইসেন্সের বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে আমাদের কোন লাইসেন্স লাগে না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় তাকে চাঁদা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
এ বিষয়ে অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে চাই, এই ভন্ড কবিরাজ ও এলাকার বেশ কিছু পাতি নেতা ও মাস্তানদের কার সাজিতে গড়ে ওঠা এই বিশাল চাঁদাবাজির মহাউৎসব এর হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply