স্টাফ রিপোর্টার:
দায়িত্বশীলদের উন্নয়নের বাজেট থাকলেও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান স্বড়যন্ত্রকারী আজিজ এর অবহেলায় নিজড়ায় উন্নয়নের কোন ছোয়া পড়েনি । গোপালগঞ্জ নিজড়া বাজার থেকে বৈলতলী রাস্তার বেহাল অবস্থা। নিজড়া বাজার থেকে উত্তরপাড়া ফরিদ মুন্সীর পুকুর পাড় হয়ে বিদ্যাধর হয়ে দতকুরা পর্যন্ত, আবার নিজড়া বাজার হয়ে বটবাড়ী পর্যন্ত রাস্তা ঘাটের মারাত্মক খারাপ অবস্থা। সম্পূর্ন রাস্তায় বড়-বড় গর্ত ও খানা-খন্দ তৈরী হয়েছে, গোটা রাস্তায় ইট-মাটির আস্তরন উঠার কারনে পায়ে হেঁটে চলাচলও কস্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। নির্ভরযোগ্য সরকার দলিয় দায়িত্বশীলরা রাস্তাঘাট নতুন করে করার বাজেট দিলেও নিজড়ার ইউপি চেয়ারম্যান আর ঠিকাদার কোম্পানীর আতাতে নিজড়ার উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিরাজ করছে স্থবিরতা।
এলাকার কোন প্রতিবাদী যুবক কিংবা সাংবাদিক সহ যে কেউ চেয়ারম্যান আজিজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদেরকে জীবনের তরে শেষ করে দেয় তার পালিত গুন্ডা বাহিনী দিয়ে, তাদের মধ্যে অন্যতম মনু সরদার পিতা-শামসু সরদার(একাদিক ধর্ষন সহ চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতির সাথে লিপ্ত বলে এলাকা বাসি জানান, নুরে আলম সরদার পিতা- কুব্বত আলি সরদার (সবার কাছে পরিচয় দেয় সে ডিজিএফআই এর গোয়েন্দা অফিসার, কিন্তু সব সময় চেয়ারম্যানের সাথে ঘুরাঘুরি করে তার আচরনে তাকে মাদকাসক্ত মনে হয়। নারী গঠিত বিষয়ে এলাকায় তাকে নিয়ে অনেক বিচার সালিশির কথাও শুনা যায়)।
এ রকম বেশ কিছু বখাটে লোকজন নিয়ে চেয়ারম্যান আজিজ এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করেছে। এসব লোক দিয়ে নিরহ মানুষদেরকে ভয় ভিতি দেখিয়ে সবার বাকশক্তি অবরুদ্ধ করেছে। প্রায় এক যুগের বেশি অবহেলীত এলাকায় যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড যেখানে জরুরী সেখানে চলছে অলসতা, অবহেলা আর অবজ্ঞা, অনেকেই বিষয়টি নিয়ে এলাকার দায়িত্বশীলের ইমেজকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে।
অন্যদিকে নিজ বাড়ীর সামনে চেয়ারম্যান আজিজ সরদার নির্লজ্জের মতো রাস্তার কাজ করিয়েছে অথচ এলাকার কথা একবারও ভাবলেন না। অহংকারী এই ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকা মতিঝিলে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করে, তার ভাই ফুল মিয়া সরদারকে সামনে রেখে গাঁ ডাকা দিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে রাতারাতী টাকা-পাচার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হয়ে বিশাল অবৈধ টাকার মালিক হয়ে বৃহত্তর ফরিদপুর সহ রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট-প্লট এবং নিজ এলাকায় অনেক জমিজমা, হিন্দুদের বসতবাড়ী ক্রয় করে অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছে । এসব দুর্নীতি আর অনিয়মকে হালাল করার প্রক্রিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান এর দায়িত্বকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে এই চতুর আজিজ । দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামতের অভাবে গ্রামীন রাস্তা ও সড়কগুলো সম্পূর্ন যানবাহনের চলাচলের উপযোগীতা হারিয়েছে । স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, অফিস, ভবন, ব্রীজ, কালভার্ট সহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মান ও সংস্কারের চিত্র হতাশাব্যঞ্জক ।
নাম জানাতে ভয় পায় এমন কয়েকজন নিজড়ার মেম্বার জানায় সরকারী বরাদ্ধের টাকা চৌকিদারদের চাকুরী দেওয়ার জন্য টাকা। ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অসহায় দুস্থদের জন্য বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন প্রকল্প, ডিপটিউবয়েল, ভিজিএফের বরাদ্ধকৃত চাল, কাবিখা, টিআর, চল্লিশ দিনের কর্মসূচী, এডিবি, এলজিএসপি, রেজেস্ট্রি অফিসের ১% কমিশন সহ ঢেউটিন কাগজে কলমে বিতরন দেখিয়ে সমুদয় টাকা নিজেই আত্মসাত করেছে নিজেড়ার ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আজিজ ।
তদন্তের আলোকে চেয়ারম্যান আজীজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোপানে এই দুর্নীতিগ্রস্থ চেয়ারম্যান অন্তরায় হয়ে কাজ করে বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তী নষ্ট করার হীনমন্য ঘৃণ্য চরিত্রে নেমেছে। বর্তমান সরকারের কুসুম বাগানে ভুতম প্যাচা সেজে আজিজ চেয়ারম্যান স্বড়যন্ত্রের জাল বুনছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জনগন সোচ্চার কোন ফন্দি-ফিকির চলবে না। জনগন দিবে দাদ-ভাংঙ্গা জবাব, আগে সোনার বাংলা , সাধু সাবধান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply