মোহাম্মদ আলী সানু, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
টেমসি শীত কালিন ফসল। পৃথিবীর ৫ টি সেরা খাদ্যের মধ্যে ঢেমসি অন্যতম একটি। ৮০ দশকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে ঘেমশির চাল ও গুরা ছিল নিত্য দিনের আহার। সেই ঢেমশির চাষাবাদ হারিয়ে যাওয়ার ফলে বর্তমান প্রজন্ম ঢেমশি কি এ দ্বারা কি হয় তার সঙ্গে কোন পরিচিত নেই। হারিয়ে যাওয়া এ ফসলের স্মৃতি ১ শতাংশ জমিতে আবাদ করে নজরে এসেছে নীলফামারী জলঢাকা ডিমলা উপজেলার মধ্যবর্তী বঙ্গবন্ধু গ্রামের আব্দুল মজিদ এর ছেলে কৃষক কাশেম আলী। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হারিয়ে যাওয়া এ ঢেমশির আবাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এক শতাংশ জমিতে এ ফসল বুনেছি। এর বীজ সংরক্ষণ করে আগামীতে আর একটু বেশি করে বুনবো।
ঢেমশি খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুজ্জামান তারিকুল প্রতিবেদকে বলেন, এটি একটি অলৌকিক ফসল, যাতে রয়েছে মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান। ভাত,মাছ,রুটি,মাংস, ডিম,দুধ,সবজি এবং ফলের প্রায় সব পুষ্টি উপাদান সেই সাথে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি ও ভিটামিন।
ঢেমশির চাষাবাদ কি কারণে হারিয়ে গেছে জানতে চাইলে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ফারুক বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে স্বল্প জমি অল্প খরচে বেশি ফসল পাওয়াই হচ্ছে কৃষকের মূল লক্ষ। অথচ ঢেমশি এটি একটি শুধু খাদ্য নয়, অনেক রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে ম্যাগনেট এর মত। ঢেমশির খাদ্য সাধারণত রোগীর খাদ্য,এবং বাচ্চাদের খাদ্য হিসেবে,জনপ্রিয় করার সব ধরনের সুযোগ ও যোগ্যতা আছে। কালের আবর্তমানে যদিও ফসল হারিয়ে যেতে বসেছে, যাতে তা হারিয়ে না যায়, এর জন্য ডিমলা কৃষি বিভাগ ট্রাইল প্লট হিসেবে কৃষক পর্যায়ে বিস্তার লাভ করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply