রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রয়োজনে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করবো: হিরো আলম আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মারা গেছেন ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, সহযাত্রীর নাম বাধ্যতামূলক কুষ্টিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রী’র সাংবাদিক সম্মেলন তুরাগে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ওমরাহ পালনকালে কাবার সামনে স্ত্রীর মৃত্যু, মক্কাতেই দাফন টঙ্গীতে নির্বাচনী প্রচারে না যাওয়ায় ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা কাউন্সিলর প্রার্থীর জলঢাকায় জলমহাল ইজারায় যোগ্য সমিতির স্থলে ভায়া সমিতিকে ইজারা প্রদানের অভিযোগ মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় ৪১ নাগরিকের প্রতিবাদ পুলিশের ধাওয়া খেয়ে টিনের চালে চোর, নামালো ফায়ার সার্ভিস

পঞ্চগড়ে যৌতুকের বোলি হলেন ৪ সন্তানের জননী সালেহা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮
  • ৫৩ Time View

মো: হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনধি: পঞ্চগড়ে যৌতুকের বোলি হলেন ৪ সন্তানের জননী সালেহা। অভিযোগ পাওয়া গেছে পঞ্চগড় বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ছোবার ভিটা গ্রামের মৃত নিজামউদ্দীনের পুত্র মো: ফজল হকের সাথে পঞ্চগড় চাকলা ৫নং ইউনিয়নের বকশি পাড়া গ্রামের মো: সামসুল হকের কন্যা মোছা: সালেহার সাথে ফজল হকের আনুমানিক ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই মো: ফজল হকের পরিবারের সাথে সালেহার পরিবারের লোকজনের সাথে তেমন কোন সুসম্পর্ক ছিল না। তাদের মধ্যে প্রায় খুটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। সালেহা ৪ সন্তানের জননী ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে। মো: ফজল হক ও সালেহার ঝগড়া বিবাদ হলে এ নিয়ে সুযোগ বুঝে অর্থলোভী ৪নং কালিয়াগঞ্জ ইউ,পি সদস্য, মো: মোজাফ্ফর হোসেন(৪০) পিতা- মৃত: কাজিমউদ্দীন। এই ইউ, পি সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন অর্থলোভী ফজল হকের বাড়িতে বসে তাদের বিচার শালিশ করত। শালিশ শেষে অর্থের বিনিময়ে ফজল হকের বাড়িতে বসে তাদের বিচার সম্পন্ন করতেন এবং মোছা: সালেহাকে প্রায় দোষী সাবস্ত্য করত। মো: ফজলকে সালেহার উপর নির্যাতন করার উৎসাহ যোগাতেন এবং যৌতুকের জন্য প্রায় সময় পাষন্ড স্বামী ফজল হককে পরামর্শ দিতেন। সেই সুযোগে ফজল সালেহাকে যৌতুক ও নানা কারনে প্রায় সময় শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করত। সেই সাথে মো: ফজলের পরিবারের মা, ভাই, বোন সহ সালেহাকে মারধর করত। ইউ,পি সদস্য মো: মোজাফ্ফর এই নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনার শালিশ পরিষদে না করে, ফজলের বাড়িতে বসে অর্থের বিনিময় শালিষ মিমাংসা করে যেত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি কখনো ভাবেন নাই যে, এই বিষয়টি এত বড় আকার ধারন করবে। এ বিষয়ে ছোবার ভিটা গ্রামের শত নারী পুরুষ গনমাধ্যম কর্মিদের ক্যামরায় অভিযোগ করে বলে যে, এই চার অপরাধীর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কারণ তারা একটি নিরিহ মেয়েকে যখন তখন মারপিট ও শারিরীক নির্যাতন করত। প্রতিবেশীরা তা জানতে গেলে আমাদেরকে ফজলের পরিবার যাতা ভাষায় গালমন্দ করত বলে জানাগেছে। আমরা প্রতিবেশীরা এই হত্যাকারীর বিচার চাই। এদিকে সালেহার বাবা ও পরিবারের লোকজনেরা জানান যে, আমরা থানায় মামলা করার কারণে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল থেকে আমাদের হুমকি প্রদান করছে। অন্যদিকে জানা যায় সালেহার বাবা ও পরিবারের লোকজনেরা ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে তার মধ্যে ইউপি সদস্য মো: মোজাফ্ফর হোসেনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে সালেহার পরিবারের লোকজনেরা গণমাধ্যম কর্মীদেরকে মৌখিক অভিযোগ জানান। এবং সালেহার বাবা মেয়ের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তীর দাবীতে কান্যায় ভেঙ্গে পরেন এবং বলেন আমার দুখিনি মেয়ে কে যারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদের আমি বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়