আরিয়ান সুমন :
মিরপুর পল্লবী থানার এসআই তারিক উর রহমান শুভ’র বিরুদ্ধে বনানী থেকে ওয়ারেন্টের কথা বলে সংবাদ কর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, অপরাধ বিচিত্রার ক্রাইম রিপোর্টার স্বাধীনকে গত ০২-০৮-২০২২ ইং পরিকল্পিত ভাবে মিরপুর পল্লবী থানার বিতর্কিত সোর্স গাল কাটা লাবলুকে দিয়ে স্বাধীনকে নজরদারীতে রাখেন। নজরদারীর মাধ্যমে হঠাৎ করে স্বাধীনকে পল্লবী থানার তারিক রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় এবং থানায় নিয়ে চাঁদা দাবী ও নির্যাতন করে।
পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপির বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রটি বরাবর তুলে ধরা হলো- হাবিব সরকার স্বাধীন, পিতা- মৃত খলিল সরকার, মাতা- আমেনা খাতুন, স্থায়ী ঠিকানা- হুগলাকান্দি, থানা- বাঞ্ছারামপুর, জেলা- বি-বাড়ীয়া। আমি অপরাধ বিচিত্রার সংবাদকর্মী হিসেবে ১২ বছর ধরে নিযুক্ত আছি এবং সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
গত ০৩-০৮-২০২২ ইং আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকার সময় কাকুলী ব্রিজের নিচে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন অজ্ঞাতানামা ব্যক্তি ডিবি পরিচয় দিয়ে আমার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে আমাকে জোরপূর্বক গাড়ীতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাদের নিকট ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চাইলে তারা ওয়ারেন্টের কাগজ দেখাতে পারেনি, তাৎক্ষণিক আশেপাশের লোকজন সেখানে আসতে থাকে এবং আমাকে জোরপূর্বক সাদা মাইক্রোতে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
গাড়ীতে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে এবং আমার ফোন থেকে আমার আত্মীয় স্বজনদের নাম্বারে ফোন দিয়ে আমাকে মাদক সহকারে গ্রেফতার করা হয়েছে ও গাড়ী সহকারে চালান দেবে এমন কথা বলে আমার পরিবার থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং অমি বাধ্য হয়ে ৭০ হাজার টাকা ক্যাশ প্রদান করি। টাকা নেয় তারিক উর রহমান শুভ, এসআই (নিঃ), পল্লবী থানা তার সাথে আরোও একজন এএসআই সহ অজ্ঞাতনামা ৪ জন ছিলেন। টাকা দেওয়ার পর আমার মোটরবাইকটি ফেরত দিয়েছে। আমাকে কাকুলী থেকে যখন নিয়ে যায়, আমার ফোন থেকে রিনাকে কল করে এনে তাকেও গ্রেফতার করে। রিনাকে মহিলা পুলিশের সহয়াতা ছাড়া পুরষ পুলিশ টানাহেঁচড়া করে গাড়িতে তুলে।
পুলিশের ভাষ্য আমি নাকি তাদেরকে অনেক জ্বালিয়েছি, এবার তারা আমাকে শিক্ষা দিবে। আমাকে থানায় নিয়ে বলে তোকে কি মামলা দিবো বল! এই বলে আমার সামনে কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট, হেরোইন, গাঁজা সহ কয়েক আইটেম রেখে আমার ছবি তুলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পল্লবীর আলোচিত সোর্স ঘাড় কাটা লাভলু। লাভলুর সাথে কথা বলতে বলতে কথার প্রসঙ্গে কথা উঠে আমি মিলটন দত্তের নামে পুলিশের বিরুদ্ধে কেন সংবাদ করেছি। গত ২৬ জুন ২০১৮ ইং তারিখে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলটন দত্তের নানান অপকর্ম শীর্ষক সংবাদটি করেছিলাম।
পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম আমাকে এই সংবাদের জের ধরে ফাঁসানো হয়েছে। সে ছিল পূর্বে বনানী থানার ফাঁড়ির ইনচার্জ আর এখন পল্লবী থানার ফাঁড়ি ইনচার্জ। গ্রেফতার অবস্থায় থানার ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম ৩ জন, তৃতীয়জনকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে ১ নং ও রীনাকে ২ নং আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
জনাব আমি কোন ধুমপান করিনা, আমাকে পূর্বেও খিলক্ষেত থানায় মাদক মামলার আসামী বানিয়ে ফাঁসিয়েছে এবং এর অডিও ভিডিও স্বাক্ষী সহ প্রমাণ আছে আমার কাছে। পল্লবী থানায় আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা নং- ১১/৭১৯, তাং- ০৩ আগস্ট ২০২২ ইং। বতর্মানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। অতএব, মহোদয় আপনার নিকট আকুল আবেদন আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করে মামলাটি সঠিক তদন্ত দানে বাধিত করিলে আপনার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply