বেলায়েত হোসেন-
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এবার পাওয়া গেছে ১৯ বস্তা টাকা। দিনব্যাপী গণনা শেষে সেই টাকার অংক দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। একইসঙ্গে মিলেছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
শনিবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে খোলা হয়েছিল সিন্দুক। তখন পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। তখন সেটিই ছিল পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা।
এর আগে, গত বছরের ১ অক্টোবর খোলা হয় সিন্দুক। তখন পাওয়া যায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। তার আগে, ওই বছরের ২ জুলাই পাওয়া যায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। তারও আগে, গত বছরের মার্চে পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা ও বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে খোলা হয় সব সিন্দুক। এরপর টাকাগুলো বস্তাবন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয় মসজিদের দোতলায়। টাকাগুলো ভরাট করতে ১৯টি বস্তার প্রয়োজন হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য এনায়েত করিম অমি বলেন, ‘কেবল মুসলমান নয়, অন্য ধর্মের লোকজনও পাগলা মসজিদে বিপুল অঙ্কের টাকা-পয়সা দান করে। এই মসজিদটি সব ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রতার প্রতীক ও আস্থার জায়গা। ফলে দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ পাগলা মসজিদ পরিদর্শনে আসে।’
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply