মোঃ মেহেদী হাসান অপু, বরগুনা :
বরগুনার পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা ১০টি বসত ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিকরা বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম হাড়িটানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, হালিমা, আকলিমা, মমতাজ, সেকান্দার, আবুল বাসার, মাসুমা, আসমা, মদিনা, সোহরাব, খলিল, এসমাইল, ইব্রাহীম, কুদ্দুস, হারুন মাঝি, কালা, কাওসার,পারভিন ও পারভেজসহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আসমা বেগমের বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে এবং তলপেটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় ও মাসুমা বেগমের হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেছেন।
আহত আবুল বাসার জানান, গত ২১ বছর ধরে জমি নিয়ে তাদের সাথে (আবুল বাসার আকন) এবং হারুন মাঝি গংদের সাথে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলছিল। গত বছরের নভেম্বর মামলাটি রায় হয় আবুল বাসারের পক্ষে।
উকিল কমিশন রায়ের পক্ষে জমি বুঝিয়ে দিলে ওই জমিতে ঘর তুলে তাঁরা। সেই থেকে ১০টি পরিবার ২ মাস ধরে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে হারুন মাঝি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় শতাধীক সন্ত্রাসী বাহিনী এনে ওই ঘরগুলো আগুন দিয়ে সম্পুর্ণ পুড়িয়ে ফেলেছে। এ সময় ঘরে বসবাসকারিদের ৩০ জনকে লোহার পাইপ, রামদা, হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ান্ত্রনে আনে।
প্রতিপক্ষ হারুন মাঝি জানান, বরগুনা জজকোর্ট থেকে তাদের পক্ষে রায় হয়েছে। কিন্তু আমরা হাইকোর্টে আপিল করার আগেই বিরোধীয় জমিতে জোরপুর্বক দখল নিয়ে তাঁরা ঘর তুলেছে। সেই ঘরগুলো আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি বলে জানান তিনি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার জানান, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply