মোঃ শাকিল আহমেদ, বরগুনা :
বরগুনার পাথরঘাটায় লিজা আক্তার (১৮) নামে এক মুসলিম মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে হিন্দু বানিয়ে বিবাহ করার অভিযোগ উঠেছে নেপাল চন্দ্র শীল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ মে) অভিযুক্তদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে এ বিয়ের ঘটনা ঘটে। পরের দিন পাথরঘাটা থানায় মামলা করা হলে নেপাল ও তার মা রাঁধা রানীকে আটক করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ে গাইবান্ধা জেলার ফুলঝুরি থানার পশ্চিম ডাকাতিয়ার চর এলাকার মো: আশ্রাফ আলী মুসুল্লীর মেয়ে।
অভিযুক্তরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের পরলোকগত নিরঞ্জন শীলের ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল (২৫) ও তার মা রাঁধা রানী এবং বোন হাসি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহ আলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নেপালের বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি ও চুরির মামলা রয়েছে। এছাড়া হাসির বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। লিজার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ, ধর্মান্তরিত, ধর্ষণ ও মারধরের মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ে জানান, ঢাকার গাজীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি। সেখানে বসে হাসির সাথে পরিচয় গড়ে উঠে। হাসি নানা ভাবে ফুঁসলিয়ে ৮ মে পাথরঘাটায় তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে। এরপর হাসি, তার মা রাঁধা রানি ও নেপাল বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও মারধর করে ১০ মে বেলা ২টার দিকে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে নিয়ে পুরোহিতের মাধ্যমে জোর করে মৌখিকভাবে হিন্দু বানিয়ে নেপালের সাথে বিয়ে সম্পন্ন করে। পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাতে শাঁখা ও মাথায় সিঁদুর পরিয়ে আমাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে নেপাল।
এরপর (১১ মে) রাতে নেপালের বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আল আমিনের কাছে আশ্রয় নেন তিনি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জানান, লিজা আক্তার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাউল গান পরিবেশন করে। হাসির প্ররোচনায় সে পাথরঘাটায় বেড়াতে যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে মা ও ছেলেকে আটক করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply