খোকন, চট্টগ্রাম থেকে :
পাহাড় কাটার অভিযোগে রেলওয়ে এবং দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় রাঙা-পাহাড় কেটে নিশ্চিহ্ন করায় এ ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এ ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন। চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে অধিদফতরের কার্যালয়ে এ শুনানি হয়। অ্যানফোর্সমেন্ট আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তত্ত্বাবধানে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও তাদের নিয়োজিত উপ-ঠিকাদার মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল। রেলওয়ের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দু’টিকেও ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে।
শুনানির সময় তমা কনস্ট্রাকশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক হাতেম আলী মজুমদার, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ও হাসান ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. ইলিয়াস উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লোহাগাড়ার চুনতিতে রাঙা-পাহাড় নামে পাহাড়টি দুইবছর ধরে কাটা হচ্ছিল। পাহাড়টি থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট মাটি কাটা হয়। পাহাড় কাটার অভিযোগে গত ১৪ অক্টোবর ঘটনাস্থলে পরিবেশ অধিদফতর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালায়।
এ সময় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। পরে পাহাড় কাটার অভিযোগ এনে তমা কনস্ট্রাকশন, হাসান ইন্টারন্যাশনাল ও রেলওয়েকে নোটিশ দেওয়া হয়। পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রেললাইন প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত অংশের চেয়ে বেশি পাহাড় কেটেছে তমা কনস্ট্রাকশন এবং হাসান ইন্টারন্যাশানাল। পাহাড় কাটা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিল রেলওয়ের। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি। এ জন্য রেলওয়ে এবং দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply