বেতন ভালো, কাজও সহজ। কিন্তু এই চাকরি পেতে হলে মানতে হবে একটি শর্ত, দিতে হবে মোটা অংকের জামানত। এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে ‘বি অ্যালার্ট সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর আজমপুর কাঁচাবাজারের হাসান কমপ্লেক্সে অফিস খুলে বহু বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে জামানতের নামে মোটা অংকের টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এদের ফাঁদে পা দিয়েই ভুক্তভোগীরা বুঝে ফেলেন যে- তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ আছে, টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। এভাবেই বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রিয়াজুল হক ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খানম আলো।
ভুক্তভোগী এক নারী জানান, মাসে ২০ হাজার টাকা বেতনে যোগ দিলেও তিন মাসে বেতন দেয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। আরেকজন জানান, চাকরি দেয়ার নামে ৩০ হাজার টাকা নিলেও তারা কোন চাকরি দেয়নি। এটা একটা সম্পূর্ণ প্রতারণার অফিস।
শুরুতে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর জেরার মুখে দায় স্বীকার করেন রিয়াজুল-আনোয়ারা দম্পতি। এছাড়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে স্টাফরা চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে। পরবর্তীতে এসব ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে।
এমন চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply