ষ্টাফ রিপোর্টার :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার ঘোষণা বাস্তবায়নে সচেষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। ঢাকা জোন থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার অন্তর্গত আন্দুল বাড়িয়া গ্রামের বাদী মোস্তফা তাজওয়ার এর অভিযোগের ভিত্তিতে আপোষ মিমাংসার লক্ষ্যে আজ হেলিকপ্টার এবং ঢাকা থেকে ১০টি গাড়ী নিয়ে বিশাল সাংবাদিক বহর নিয়ে আপোষ মিমাংসার লক্ষ্যে থাকবেন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
এই আপোষ মিমাংসার নেতৃত্ব দিবেন মোঃ লোকমান বিভাগীয় প্রধান (আসক) মোঃ সোহেল রহমান (বিভাগীয় প্রধানের পিএস), মাসুম বিল্লাহ্ (সহকারী বিভাগীয় প্রধান), এ্যাড. আলতাফ হোসেন (অতিরিক্ত বিভাগীয় প্রধান), সাংবাদিক নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন শুকতারা ইসলাম ঐশী, সাথে থাকবেন সাংবাদিক রবিউল আলম রাজু, ওয়াহিদ আব্দুল্লাহ্ রাজীব, আমেনা ইসলাম, জনাব এস.এম আনোয়ারুল হুদা, সাইফুদ্দিন আহম্মেদ খন্দকার, হুমায়ূন আহমেদ শাওন, মাহবুব আলম, আবুল বাশার, গাজী তারেক, এস.এম ফোরকান সহ আরো যারা সহযোগীতায় থাকবেন- মাহমুদুল হাসান, এ্যাড. ইব্রাহিম, মেহেদী হাসান, ড্রাইভার আব্দুল খালেক, মোঃ মিজানুর রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ, মোঃ মোক্তার হোসেন, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, তানিয়া, আব্দুল্লাহ্ আল হাফিজ, সার্জেন হাসান, আহমুদুর রহমান, শিব্বির আহমেদ, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উক্ত আপোষ মিমাংসার অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়। গত ২৪/১২/২০২০ ইং তারিখে বিকাল ৩ ঘটিকার সময় জনাব মোঃ মোস্তফা তাজওয়ার, পিতা- মোঃ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সাং- আন্দুলবাড়ীয়া, ডাকঘর- আন্দুলবাড়ীয়া, থানা- জীবননগর, জেলা- চুয়াডাঙ্গা ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, আন্দুলবাড়ীয়া, আন্দুলবাড়ীয়া, থানা- জীবনগর, চুয়াডাঙ্গা এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ আবেদন আকারে দাখিল করেন এবং অভিযোগের বিষয়বস্তু হিসেবে উল্লেখ করেন বিবাদী তার সম্পর্কে বাবা হন।
বাবা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০০০ সালে মুসলিম পারিবারিক আইনের ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে তার প্রথম স্ত্রী মোসাম্মৎ শাহিনা বেগম এর অনুমতি ছাড়া মোছাম্মৎ সকিনা বেগমকে বিয়ে করে দ্বিতীয় সংসার তৈরি করেন। যার ঘরে বর্তমানে ১৮ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
একই বিল্ডিং এর নিচতলায় আলাদা দুটি রুমে দুইজন স্ত্রীকে থাকার ব্যবস্থা করেন জনাব আব্দুল লতিফ বিশ^াস। কিন্তু প্রথম স্ত্রী শাহানা বেগম এর সাথে অদ্য ২০ বছর পর্যন্ত ভালো করে একটু কথা তো বলেন নাই বরং প্রথম স্ত্রীর সাথে মানসিক চর্টার ও পাশবিক আচরণ করে যাচ্ছে যার কোন প্রতিবাদ তার তিন ছেলে সহ কেউ কখনো করে নাই। বাদী মোস্তফা তাজওয়ার এর নিজ দাদী তার ছেলে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এর এই সকল অমানবিক আচরণ দেখে তিন নাতি যথা মোস্তফা আমজাদ, মোস্তফা শাকিল, মোস্তফা তাজওয়ার এর জন্য দাদীর সম্পত্তি থেকে তিন নাতিদের জন্য ৯ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করিয়া দিয়ে যান যা পরবর্তীতে নামজারি ও খাজনা খারিজ সবকিছুই স্পষ্ট রয়েছে। উক্ত জায়গায় বাদী পক্ষত্রয়ের বর্তমান বসতবাড়ী স্থাপন করিয়া বসবাস করিতেছেন।
কিন্তু উক্ত বসতবাড়িতে বিবাদী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস জোরপূর্বক বহিরাগত ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে বাদীপক্ষের লোকজনদেরকে এবং তার প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে অমানবিক পাশবিক নির্যাতন করেছে বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আরো উল্লেখ্য যে, পাশর্^বর্তী এক বিধবা মহিলার (লতিফা খাতুন, স্বামী- মৃত আতিয়ার রহমান বাবু-বাদীর বাড়ী থেকে ৫০ মিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত) ৬ শতাংশের জমি খন্ডটি অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করার অপচেষ্টার ফলে বিষয়টি নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
পুত্রদের বক্তব্য, বাবার প্রতি- বিধবা মহিলার সম্পত্তিতে তোমার লোভ কেন? এ নিয়ে তৃতীয় পক্ষ এসে পিতা পুত্রের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা সৃষ্টি করে। পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্বকে স্থায়ী করে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লাভের প্রতিক্ষায় থাকে।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে একটি বোর্ড মিটিং এর ব্যবস্থা করা হয় এবং বিষয়টি পিতা পুত্রের দ্বন্দ্ব পারিবারিক হওয়ার কারণে মানবিকদৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ের মাঝে যাতে শান্তি ফিরে আসে এবং সমন্বয় করে দেওয়া যায় তাই মর্মে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি চৌকস ও বিজ্ঞ টীম উক্ত ঘটনাস্থলে যাচাই বাছাই করিয়া সুষ্ঠু ও সুন্দর সমন্বয় করে দেওয়ার লক্ষ্যে আগামী ০২/০১/২০২০ ইং তারিখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকিবেন।
বিষয়টি মহাপুলিশ পরিদর্শক সহ ডিআইজি-খুলনা, জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা জেলা, পুলিশ সুপার- চুয়াডাঙ্গা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) চুয়াডাঙ্গা, অফিসার ইনচার্জ জীবননগর থানা সকলকে অবহিত করা হয় বলে জানা যায়।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply