বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকগঞ্জে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ইএসডিও-রেসকিউ প্রকল্পের উদ্যোগে উদ্যোক্তা ও স্টেকহোল্ডারদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে আইন শৃংঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী চেয়ারম্যান খোকা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাচ্চু মন্ডলের পদত্যাগ দাবীতে শিক্ষার্থীদের মিছিল সাতক্ষীরায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর বাগেরহাটের মোংলায় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে কৃষি জমি দখলের অভিযোগ, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ শ্রীবরদীতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর এমপি রানার বিরুদ্ধে জমি দখলের মিথ্যা সংবাদ করার প্রতিবাদে জলঢাকা জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ ও মানববন্ধন টঙ্গীতে জমি আত্মসাৎ এর জন্য নিজের মাথায় আঘাত করে মিথ্যা মামলা সাজালেন ছোট ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে

পুলিশের কাঁধে আর রাইফেল থাকছে না

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৬ Time View

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

পুলিশ সদস্যদের কথা আসলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে উর্দি পরা শরীরের কাঁধে ঝোলানো বড় এক রাইফেল। কখনও বা রাইফেলটি থাকে হাতে। জরুরি মুহূর্তে পুলিশ সদস্যদের রাইফেল সামলে বিপদগ্রস্থ মানুষকে সহায়তা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

তবে এবার পুরনো সেই দৃশ্য বদলে যাচ্ছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের হাতের বোঝা কমিয়ে দুই হাত মুক্ত করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাইফেল বয়ে বেড়ানোর অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশে। উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদেরও দেয়া হবে ছোট পিস্তল।

এ জন্য বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজন করা হচ্ছে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট। ছয় চেম্বারের আধুনিক এই ট্যাকটিক্যাল বেল্টেই থাকবে পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, এক্সপেন্ডেবেল ব্যাটন, পানির পটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাত থাকবে সম্পূর্ণ খালি। এতে বিপদগ্রস্ত মানুষের যে কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন তারা। আবার অপরাধীকে দ্রুত ঘায়েল করতে ট্যাকটিক্যাল বেল্টে থাকা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসেই।

ট্যাকটিক্যাল বেল্টের মূল স্লোগান হলো ‘হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং’ মানে হাত খালি রাখা। এতে বড় অস্ত্র বহনের ঝক্কি আর থাকবে না। এতে পুলিশের কাজে গতি আসবে, মনোবলও বাড়বে। একইসঙ্গে পুলিশকে দেখতে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী লাগবে।

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ সদস্যদের মাঝে ১০ হাজার ট্যাকটিক্যাল বেল্ট সরবরাহ করবে পুলিশ সদর দপ্তর। এরপর পর্যায়ক্রমে পুরো পুলিশ বাহিনীর সব সদস্যকে এই ট্যাকটিক্যাল বেল্ট দেয়া হবে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি পুলিশে ট্যাকটিক্যাল বেল্টের মতো আধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত করতে যাচ্ছেন।

জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মূল কথা পুলিশকে কাছের ভাববে সাধারণ মানুষ। বিপদে ভরসা মনে করবে। এ জন্য উন্নত বিশ্বে পুলিশের অস্ত্র সাধারণত প্রয়োজন ছাড়া প্রদর্শন করা হয় না। আবার এমনভাবে পুলিশ সদস্যদের কাছে সংরক্ষণ করা হয়, যেন অপরাধীদের দমনে দ্রুত সেটি ব্যবহার করা যায়। ট্যাকটিক্যাল বেল্টের কারণে অস্ত্র থাকবে হিডেন (লুকানো)। এতে সাধারণ মানুষের পুলিশের অস্ত্রের দিকে সহজে নজরে পড়বে না।

ট্যাকটিক্যাল বেল্টে ছয়টি চেম্বার থাকবে। এসব চেম্বারে প্রাথমিকভাবে থাকছে ছোট অস্ত্র, এক্সপেন্ডেবল ব্যাটন, ওয়্যারলেস সেট, ৫০০ মিলিলিটার পানির বোতল ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য পজ মেশিন। পরবর্তী সময়ে ট্যাকটিক্যাল বেল্টে বডি অন ক্যামেরা, টর্চলাইটসহ প্রয়োজনীয় আরও কিছু ফিচার যুক্ত করা হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়