সামছুদ্দিন জুয়েল :
ওমানের নকল ভিসা ইস্যু করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেত্রী পরিচয়দানকারী আফসানা আক্তার রুপা ওরফে চাঁদনী ও তার জামাতা জামালের বিরুদ্ধে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে ভিসাটির অনলাইনে কোনো রেকর্ড নেই।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তায় গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিনমজুর, রাজমিস্ত্রি ও অটোরিকশাচালক কবির হোসেন তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তার অভিযোগ, রুপা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে এসআই সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কবির হোসেনকে থানায় ডেকে নিয়ে সেই ভিসার দাম এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ধার্য করেন। বাকি এক লাখ টাকা বাকিতে ফেরত দেওয়ার আপস মীমাংসা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কবির বলেন, ভিসা বাবদ দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকা মধ্যে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা এসআই সাইফুলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন রুপা। এক লাখ টাকা দেওয়ার লিখিত আপস নামার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করান আমাকে। তা-ও আবার বাকিতে।
অভিযুক্ত রুপা পূবাইল ৪১ নং ওয়ার্ডের নয়ানী পাড়া মৃধা বাড়ি এলাকার আজিজের ভাড়াটিয়া ও অভিযোগকারী কবির হোসেন ৪১ নং ওয়ার্ডের পূবাইল বাজার এলাকার হজরত মিয়ার ছেলে। শাশুড়ি-জামাতার দেওয়া ওমানের নকল ভিসার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন ও তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, রুপার মেয়ে জামাই ওমান প্রবাসী জামাল আমাকে বলেছে ভিসা পরে অনলাইন করে দেবে। ভিসা ও টিকেট বাবদ এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, এলাকার অন্তত ১০-১৫ জনকে বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে পথে বসিয়েছে এই মানবপাচারকারী চক্রটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশের গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাকসুদের রহমান জানান, বিষয়টি জানানোয় আপনাকে ধন্যবাদ। দেখি কী করা যায়।
রুপা বেগমের সঙ্গে তার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘ ভিসা এক নাম্বার না হলে বিএমইটিতে ফিঙ্গার দিল কিভাবে? আপনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলব।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply