এস এম নূর ইসলামঃ
একজন বিবেকবান ব্যক্তি একজন অসহায় ব্যক্তির উপর বারবার কি প্রতারণা করতে পারে? হ্যাঁ কিছু লোক বার বার প্রতারণা করতে পারে কারণ তারা প্রতারক! তেমনি একজন প্রতারকের খোঁজ মিলেছে রূপসার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোঃ সোহেল। সে একজন আদম ব্যবসায়ী এবং তার স্ত্রী দেশে থেকে বিভিন্ন লোকজনকে ম্যানেজ করে তার স্বামী সৌদি প্রবাসী সোহেলের মাধ্যমে কাজ ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই দম্পত্তির বিরুদ্ধে।
রূপসা এলাকার একজন ভুক্তভোগী কামরুল তিনি দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, আমি বিদেশের যাওয়ার জন্য খুব কষ্ট করে টাকা পয়সা জমিয়ে এই দম্পত্তিকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি।
প্রবাসী সোহেলর স্ত্রী বিউটিকে আমি প্রথম দফায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং পরবর্তীতে আবার ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা দেওয়ার পর আমাকে সোহেল সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার পর সে আমার নিকট থেকে আরো বাড়তি টাকা নেওয়ার জন্য জোর দাবি করেন। টাকা না দিলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে রূপসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের মোড়লের বটতলা, মোচ্ছাবারপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কামরুল’কে বিদেশে পাঠানোকে কেন্দ্র করে ১০ লক্ষ টাকা বিভিন্নভাবে হাতিয়ে নিয়েছে রামনগর গ্রামের মোঃ রুস্তম এর ছেলে সোহেল ও তার স্ত্রী বিউটি এবং প্রতারকদের আরো দুই সহযোগী মৃত সৈয়দ শেখের পুত্র মোঃ আরিফ ও মোঃ শরীফ। প্রতারকরা সব একই এলাকার বাসিন্দা।
টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি…প্রবাসী কামরুলের কাছে আরো টাকা দাবি করায়। প্রবাসী কামরুলের আর্থিক সমস্যা থাকার কারণে টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রতারক সোহেল এবং সোহেলের সহযোগীরা প্রবাসী কামরুল ও কামরুল পরিবারকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করলে ভুক্তভোগী কামরুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি বেগম নিরুপায় হয়ে বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল রূপসা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-২৩, তারিখ ১/৪/২০২৩ইং।
জিডিতে বলা হয়েছে, রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের চরমোছাব্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের মেয়ে বিউটি বেগমের স্বামী মোঃ কামরুল ইসলামকে এক বছর মেয়াদে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলেন রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রুস্তমের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ সোহেল। এ লক্ষে প্রবাসী সোহেলর স্ত্রী বিউটি বেগম প্রথম দফায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ও পরবর্তীতে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কামরুল সৌদি আরব যাওয়ার পর তার কাছে সোহেল আরো টাকা দাবি করেন। কামরুল টাকা দিতে না পারায় সোহেল তাকে মারপিট করে এবং বাংলাদেশে পাঠানোর কথা বলেন। এমনকি সোহেলের স্ত্রী বিউটি ও সোহেলের শ্যালক আরিফ শেখ, শরিফ শেখ সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করছেন।
প্রবাসী কামরুলের অসহায় পরিবার এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টা জানালে ও তাতে কোন কাজ না হলে প্রবাসী কামরুলের স্ত্রী কোন উপায় না পেয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রুপসা থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply