শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ক‍েরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাঙচুর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করলে তার ক্ষতি হবে না: শাজাহান খান আগের মতোই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে: হানিফ হিন্দি সিনেমায় নৈতিকতা-মূল্যবোধের অভাব রয়েছে: কাজল যার আইনি প্যাঁচে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ দেশে খাদ্যের অভাব নেই: শিক্ষামন্ত্রী র‌্যাবের নেতৃত্বে উত্তরখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা রামনা ইউনিয়ন প্রবাসী সংগঠনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সৌদি আরবে সাময়িকভাবে ভারত থেকে চিংড়ি আমদানি নিষিদ্ধ

প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় লাইনম্যান বেপরোয়া প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৭ Time View

 

 

হাবিব সরকার স্বাধীন :

 

রাজধানী ঢাকা শহরকে সুন্দর নগরী করার লক্ষ্য সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রাজধানীর ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে এবং পথচারীদের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এমন নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারার, মহাখালী, মতো এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও উন্নয়নের জন্যও সংশ্লিষ্ট মেয়রকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট, যখন তারা কোনও প্ল্যান করবেন অন্তত ফুটপাতটা যেন মানুষের হাঁটার যোগ্য থাকে এবং সেটা যেন দখল না হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা অমান্য করতে ও কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের টনক নড়ে না। অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনীতিবিদ ফুটপাত দখল করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ চাঁদা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মিথ্যা ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে লাইনম্যানদের বিরুদ্ধে। ক্ষমতা প্রভাব হিসেবে ব্যবহার করছেন দলীয় কর্মী এবং প্রশাসনের হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তাদের। হকারদের বোবা কান্না কেউ বুঝে না।নামে পুলিশের অভিযান চাঁদা টাকা মাফ নেই। হকারদের মরার উপরে খারার ঘা। লাইনম্যানদের নিষ্ঠুর অত্যাচার সারাদিন ক্লান্তময় পরিশ্রম করে যে টাকাটি ব্যবসা হয়। অর্থাৎ বড় বাবুদের সম্মানী হিসেবে দোকান প্রতি ৬০০/৫০০ /টাঃ চাঁদা দিতে হচ্ছে। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়। বনানী ভার্সিটি গল্লি এবং স্বপ্ন এ দুটি জায়গা যেন সোনার হরিণ ।প্রতিদিন ১২ শত টাঃ। কিছু দোকান ১ টাঃ রয়েছে ভাড়া।

বনানী পোস্ট অফিস, ইকবাল টাওয়ার, বিকেতন স্কুল, সৈনিক ক্লাব,চেয়ারম্যান বাড়ি, কবরস্থান রোড, আনুমানিক ৩ শত দোকান নিয়ন্ত্রণ করছেন লাইনম্যান লিডার আব্দুল করিম, কাকুলিতে রাস্তার ফুটপাত সহ ভিক্ষুকের টাকাও নিয়ন্ত্রণ করছেন জসিম। লুৎফর, মহাখালী জনস্বাস্থ্য মোর, জুতা করিম মহাখালী কাঁচাবাজার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সামনে ফুটপাত পরিচালনা করেন। বিতর্কিত আলোকিত টয়লেট মোমিন নামে তিনি পরিচিত মহাখালীতে নিজেকে বনানী থানা হকার লীগের সভাপতি। অঙ্গ সংগঠনের সকলের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলেন বলে তিনি স্বীকার করেন। চাঁদার টাকা কোথায় কারা নেতৃত্ব বন্টন হয় এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পরবর্তীতে ব্যস্ত হয়ে বলেন আপনি আমার ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বলুন।

ক্যাশিয়ার কে প্রশ্ন করলে নিজেকে কাউন্সিলর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে লঙ্কাকাণ্ড হুমকি দেন সেখান থেকে চলে যান। আমরা কি করছি প্রশাসন দেখব। তারা না চাইলে তো আমরা পারতাম না।ফুটপাত দখল চাঁদা তোলার বিষয়ে জানতে ফোনে বনানী ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই নাদিম প্রতিবেদকে বলেন ফাঁড়িতে দায়িত্বে আমি নতুন এসেছি হকার ধরে আমরা চালান করছি। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। করিমের চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন করিম লাইনম্যান অথবা কাউকে আমি চিনিনা আইনশৃঙ্খলার বাহিনী কথা বলে যারাই চাঁদা তুলবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুসন্ধানে জানা যায় ফুটপাত দখলের চাঁবাজীর পাশাপাশি করিম জাল টাকার ব্যবসা লিপ্ত৷

সে মামলা দীর্ঘদিন জেল খেটে আবারো চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন। দোকানে বসিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ার না আর অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫০ হাজার টাকা জাল নোট নিয়া আটক করিম।বনানী থানা তাং ৯/৩/২১/ মামলার নং ১৩। গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্ট এর চিত্র- বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান আন্তর্জাতিক হযরত শাহজালাল বিমানবন্দ। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানটিতে সর্বস্তরের মানুষের আনাগোনা, ব্যবসা-বাণিজ্যের আসে মানুষের বিদেশে ইত্যাদি। রাত দিন ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত নগরী। বিদেশে গমন করার জন্য প্রতিদিন জড়ো হয়।

বাংলাদেশের আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হযরত শাহ- জালাল বিমান বন্দর এলাকায়। আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হিসেবে সর্ম্পূর্ণ এলাকাটি কেমন থাকা উচিৎ? অবশ্য উত্তম সচেতন। নিরাপত্তার ভিতরে, সু-সৃঙ্খল শ্রেণি বিন্যাসে সৌন্দর্যে মন্ডিত হয়ে অপূর্ব পসড়া সাজিয়ে প্রথম মানের থাকা উচিৎ দোকান, আবাসিক হোটেল, মানসম্মত খাবারের দোকান, পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বিমান বন্দরের চারপাশের তিন চার কিলোমিটার এলাকা নিয়ে।একটি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট পরিবেশ থাকা আবশ্যক।

সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পথেই বিদেশ সফরে যায়। বিদেশ থেকে আসে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গরাও। ডমেসটিক এবং ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেনজারের সুবিধার জন্য পার্কিং এ রাখা ড্রাইভার এবং গাড়ির সু-নির্দিষ্ট কোন তালিকা নেই। সরেজমিনে জরিপ করে দেখা যায় দখল আর বখরাবাজি কবলিত বিমান বন্দর এলাকা মাকড়সার জালের মত গাপটি মেরে বসে নানান রকমের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। গাড়ি দোকানপাট দখল করে বসে আছে। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে পরিনত হয়েছে।

এয়ারপোর্ট এলাকার ফুটপাত দখল করে বছরে শত কোটি টাকা চাঁদা আদায় - Amar  Praner Bangladesh.

বিমান বন্দরের প্রবেশ মুখ থেকে হাজ্বী ক্যাম্প হকারদের দখলে, এ পি বি এন হেড কোয়াটার থেকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তিল পরিমাণ ঠাই নেই ২৪ ঘন্টাই যেন মনে হয় মেলা চলছে। বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পার্কিং এমনভাবে দখল করেছে মনে হয় এদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। সেখানকার প্রধান রাস্তা ও অলি-গলি বাস ষ্টান্ড, কার পার্কিং সব কিছুই জবর দখল করে বসানো হয়েছে বাজার। রাস্তার ফুটপাতের প্রতি ইঞ্চি জায়গায় স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান-পাটে ঠাশা। বিমান বন্দর রেল স্টেশনের বিভিন্ন পয়েট। এখন কয়েকশত দোকান-পাটের জমজমাট মার্কেট। রেল লাইনের কোনায় কোনায় ঝুপড়ি বস্তির দোকান-পাট। সবজি আর মাছের বাজার বসানোর ফলে স্টেশনে বহিরা গমন রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুপুর গড়ালে বিমান বন্দর মোড় ক্রেতা-বিক্রেতার ও পথচারীর ভিড়-ভাড়াক্কায় স্বাশ রুধ্রকার হয়ে উঠে। তখন আশকোনা হজ্ব ক্যাম্প রোড ও বিমান বন্দর রেল ষ্টেশন মুখে যান-বাহন চলাচলতো দূরের কথা হেটে চলাচল করাই কঠিন।

দেশের প্রধান আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় এই জঘন্যতম অবস্থার প্রতিকারও কারার মত কেউ নেই। সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে দৈনিক তিন থেকে চার লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়। বিমান বন্দরের প্রবেশ মুখ থেকে হজ্ব ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তার দু-পাশ ঘিরে বাজার বসিয়ে রেলওয়ে বক্স ও পুলিশ বক্সের নামে চলছে চাঁদাবাজির মহাউৎসব। চলছে দখল-বদেখলের প্রতিযোগীতা।

জানা যায় রেলওয়ে এলাকায় অবৈধ দোকান পাট থেকে চাঁদার টাকা হাতিয়ে নেন জি. আর. পি. বক্স ও আর.এন.বি’র কিছু অসাধু কর্মকর্তা। লাইনম্যান সজীব কাছে মোবাইল ফোনে ফুটপাত দখলের বিষয় জানতে চাইলে লাইন সজিব, এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীকে বলেন ফাঁড়ি ইনচার্জ শফিক ও কামরুল স্যারের সাথে কথা বলুন। তিনি যা বলবেন সেভাবে কাজ করা হয়। প্রভাবশালী  লাইনম্যানসহ ভুক্তভোগী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে পরবর্তীতে সংখ্যায় বিস্তারিত চলবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়