রফিকুল ইসলাম (বাবু):
স্বাধীন দেশ, স্বাধীন পেশা, কিন্তু চলাচল হবে নিয়ন্ত্রিত, পা ফেলতে হবে সাবধানে, এসব একটানা কতদিন সহ্য করা যায়। এ ব্যাপারে আমরা কাউকে দোষারপ করছি না, কারো বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগও তুলছি না, আমাদের চারপাশে বিদ্যমান সামাজিক ব্যবস্থা, সহনশীলতার অভাব আর অপরাধ চক্রের একচ্ছত্র প্রভাবের কারনেই আমরা কেউ কেউ গন্ডিবদ্ধ হয়ে পড়ছি। জীবনের মায়ায় চারপাশে একে দিচ্ছ অদৃশ্য বৃত্ত রেখা। এখন লেখালেখির ক্ষেত্রে নিজে থেকেই আটকে রাখতে চাই “ঝুকি সৃষ্টিমূলক” অংশ এটা যেন নিজের জন্য নিজেরই আরোপিত সেলফ সেন্সরশিপ।
কিন্তু শত বাধা বিগ্নের মাঝে দেশ প্রেম যেখানে বাসাবুনে, সেখানে প্রতিনিয়ত যুুদ্ধ হয় অনিয়মের সাথে, অশ্লিলতার সাথে, স্বাধীনতা যুদ্ধের শত্রদের সাথে,মাদকের ভয়াবহতা আর শিশু ধর্ষনের সাথে সামাজের অন্যায়কে জাতীর সামনে এনে প্রকাশ করার প্রত্যয়ে আমাদের শ্লোগান “সত্য প্রকাশে নিরন্তর প্রচেষ্টা”। গত কয়েকদিন যাবত একটানা বৃহত্তর উত্তরা নিয়ে অবৈধ দখলের মহাউৎসব, উত্তরায় চলছে অসামাজিক কর্মকান্ড, ভূয়া সাংবাদিকের আতাত ইত্যাদি খবর প্রকাশিত হলে হঠাৎ করে প্রশাসন-রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ নরে চড়ে বসে এবং আমাদের পত্রিকায় প্রকাশিত অপরাধীর ঠিকানা ধরে তাদের আইনের আওতায় আনে। যে কারনে বৃহত্তর উত্তরা এখন অনেকটাই অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত । যদিও এই টু নাইনটী খ্যাত শয়তানের দোসররা আর তাদের সান্ডা-পান্ডারা আমাদের পত্রিকা-সাংবাদিক নিয়ে মনগড়া কথা ছড়িয়ে আমাদেরকে বদনাম করার হীন চেষ্টায় ঘোলাপানিতে মাছ ধরার দুঃসাহাস দেখায়, যা সর্বজন পাঠক ঘৃর্ণিত ভাবে তাদের প্রত্যাখান করেছে, কারন আমাদের ভূমিকা, আমাদের লেখা, আমাদের কর্মকান্ড প্রশাসন জানে, সরকার জানে,অন্যায়ের সাথে আমরা কোনদিন আপোষ করিনি আর করবোও না অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানে যখন সরকার অবৈধ দখলকার মুক্ত করার জন্য বদ্ধ পরিকর তখন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশে প্রকাশিত সংবাদ স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রেরনা হিসেবে বিজয়ের গানের মতো কাজ করেছে।
তাইতো রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ যুগান্তরকারী ইতিহাস সৃষ্টি করে রাজধানী ঢাকাকে নতুন রুপে সাজাবার প্রক্রিয়ায় অঙ্গিকার বদ্ধ উত্তরা পশ্চিম থানা, থানা, তুরাগ থানা, উত্তর খান-দক্ষিন খান থানার সকল পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অফিসার ইনচার্জগন তাদের বলিষ্ট ভূমিকা প্রদশের মাধ্যমে সুন্দর কাজ সম্পাদন করে । আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে যা সর্বজন প্রশংসনিয় বিষয় বটে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় চলছে দেশ ব্যাপী উন্নয়ন কর্মকান্ড। রাজধানীর অন্যতম সৌন্দর্য্য মন্ডিত এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রন করে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) । কিছু কুচক্রীমহল সরকার দলীয় নামে-বেনামে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আতাত করে রাজউকের এ্যার্লোটমেন্ট হয়নি এমন খালী প্লট দখল করে কাঁচাবাজার, হোটেল, দোকান, রেন্ট এর কারের অফিস সহ বিভিন্ন ভাবে দখল বানিজ্য চালিয়ে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশে পর-পর কয়েক বার উত্তরায় চলছে “দখল বানিজ্যের মহাউৎসব” শীর্ষক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর, বিষয়টি রাজউক কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসে এবং অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের মধ্যে উত্তরার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের এ্যাক্সিগিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট জেসমীন আক্তারের নেতৃত্বে সকল অবৈধ স্থাপনা বুল্ডোজার দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়। অবৈধ উচ্ছেদ চলমান রাজউকের উন্নয়ন মূলক কাজের অংশ।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ব্যাপী উন্নয়নের সোপানে যে কাজ চলছে তার অন্তরায় সকল সরকারী দপ্তরের অবৈধ দখলকারদের নিকট হইতে দখল মুক্ত করে রাস্তা ঘাট, আবাসিক এলাকা, নদীর পাড় সহ সর্ব পর্যায়ে শৃংখলা ফিরিয়ে একটি আধুনিক শহর উপহার দেওয়ার প্রত্যাশায় এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply