বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

ফটিকছড়ির বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে কাঠ পাচার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৪৫ Time View

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
উওর চট্রগ্রামের গহিরা হেয়াকো সড়কের ফটিকছড়ি গহিরা সড়ক এখন কাঠ পাচারের নিরাপদ সড়কে পরিনত হয়েছে। দিনে রাতে পাল্লা দিয়ে চলছে কাট পাচার। এতে একদিকে সামাজিক বনায়ন ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজার হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। এ নিয়ে বন বিট, ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ বিভিন্ন স্পটে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে, চট্রগ্রাম উত্তর বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার নারায়নহাট রেঞ্জের নারায়নহাট, দাঁতমারা, বালুখালী, ধুরুং বনবিট, হাটহাজারি রেঞ্জের শোভনছড়ি, সর্তা, মন্দাকিনী এবং হাজারিখীল রেঞ্জের হারুয়ালছড়ি বনবিট থেকে প্রতিদিন সামাজিক ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। আকাশমনি, জারুল, জাম, সেগুন, চাপালিশ, গামারি, কড়ই, গর্জনসহ নানা প্রজাতির গাছ রীতিমত সাবাড় হয়ে পড়ছে। তাছাড়া, অসাধু ব্যবসায়ীরা উল্লেখিত বনাঞ্চল থেকে জ্বালানী কাঠ এনে স্থানীয় ইটভাটিগুলোতে সরবরাহ করছে।
সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা গেছে , প্রতিটি বনবিট, পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ কাঠ বোঝাই প্রতি জিপ গাড়ি থেকে ৫০০ টাকা, মিনি ট্রাক ১০০০-১৫০০ টাকা, ট্রাক প্রতি ২৫০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে।
ইটভাটায় জ্বালানী কাঠ সরবরাহকারী মাহাবুবুল আলম বলেন, ঘাটে ঘাটে চাঁদা না দিলে গাড়ি ছাড়ে না। নাজিরহাট কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়েও ব্যবসা করা যায়না। কাঠুরিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা জানায়, বন বিভাগের দখলদার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকায় জ্বালানী কাঠের বাগান ক্রয় করতে হয়েছে। এ জ্বালানী কাঠ পাচার করতে গিয়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
ফটিকছড়ি উপজেলে নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, কাঠ পাচার রোধে উপজেলা সমন্বয় সভায় ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভায় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তবে বনবিট ও পুলিশের নামে চাঁদা তোলার ব্যাপারে তদন্ত করে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চট্রগ্রাম উত্তর বনবিভাগের প্রধান আ. ন. ম. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, উত্তর ফটিকছড়ির সব সড়কে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে উল্লেখযোগ্য সফলতাও পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, দক্ষিন ফটিকছড়ির নানুপুর-গহিরা অংশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। কাঠ পাচারের সাথে বন বিটের লোকজন জরিত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়