রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্বনামধন্য সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সাথে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সৌজন্য সাক্ষাৎকার। ফুল ও ছবির অ্যালবাম উপহার পেয়ে তাসমিমা হোসেন অত্যন্ত খুশি হোন। এসময় উভয় পত্রিকার অনেক সাংবাদিক ও কলাকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সমসাময়িক দেশের রাজনীতি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি- প্রাণের বাংলাদেশ। পূবাইল প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের কারনে গ্যাস সংকটে বৈধ গ্রাহকরা নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ২৪ হাজার টাকা ঘোষনার দাবিতে র‍্যালি ও সমাবেশ গাজীপুরে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণ  গুলশান-বনানীতে স্পা সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে কারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নজরদারির লক্ষ্যে নব উদ্যোগ তজুমদ্দিন থানার চৌকস পুলিশ অফিসার ওসি মুরাদের তাহিদুল ইসলাম ঝন্টু জনগণের সমর্থন নিয়ে খালিশপুর ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে চায় অবশেষে সাংবাদিক লোকমান হোসেন ও রুহুল আমীন হাওলাদারের সৃষ্ট মামলা নিষ্পত্তি হলো রোয়েদাদ নামায়

বনানীতে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ফুটপাত দখল শেষ, রাস্তা দখলে মরিয়া

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩
  • ২৯ Time View

 

 

(রাজধানীর বনানী-মহাখালী ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকার ফুটপাত দখল শেষ, রাস্তা গিলে খাবে লাইনম্যান নামধারী চাঁদবাজ আব্দুল করিম, বিল্লাল হোসেন, কাকুলির ঘড়ি জসিম, মহাখালীর টয়লেট মোমিন, জুতা করিম, লুৎফর সহ আরোও এসব চাঁদাবাজদের দখলে বনানীর ফুটপাত। এসব চাঁদাবাজদের শেল্টার দিচ্ছে প্রত্যেক এলাকার বিট ইনচার্জ, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।)

 

হাবিব সরকার স্বাধীন :

 

বড় বাবুদের দোকান প্রতি ৬০০/৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বনানী ভার্সিটি গলি, স্বপ্ন এ দুটি জায়গা যেন সোনার হরিণ। প্রতিদিন দোকান প্রতি ১২ শত টাকা চাঁদা, বনানী পোস্ট অফিস, ইকবাল টাওয়ার, বিকেতন স্কুল, সৈনিক ক্লাব,চেয়ারম্যান বাড়ি, কবরস্থান রোড, আনুমানিক ৩ শত দোকান নিয়ন্ত্রণ করছেন লাইনম্যান ঘড়ি জসিম, কাকুলিতে রাস্তার ফুটপাত সহ ভিক্ষুকের টাকাও নিয়ন্ত্রণ করছে জসিম। লুৎফর, মহাখালী জনস্বাস্থ্য মোর, জুতা করিম মহাখালী কাঁচাবাজার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সামনে ফুটপাত পরিচালনা করেন। রাজিব তালুকদার দীর্ঘ দিন ধরে তিনি মহাখালীর বিট ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছে।

ফুটপাত দখলের বিষয়ে তার সাথে অনেক বার কথা বলতে চাইলে তাকে কখনোও পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, অভিযানের নামে চলে দর কষাকষি। গরীবের ভাগ্য অভিযানের মধ্যে পৃষ্ঠ হয়ে যায়। যত অভিযান ততই দোকান প্রতি চাঁদা বেড়ে যায়। অথচ প্রত্যেকই একেক মামলার আসামী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের এই কৌশল অবলম্বন।

যেমন- কাকুলী ঘড়ি জসিম নামে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে তার বিচারও হয়েছিল। সর্বশেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় তার এসব কুকর্মের কারণে। অনুসন্ধানে জানা যায়, লাইনম্যান করিম দীর্ঘ দিন ধরে জাল টাকার ব্যবসায় জড়িত থাকায় র‌্যাবের হাতে আটক হয়। জামিনে এসে পূর্বের মতো চলছে তার চাঁদাবাজি। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক। সন্ধ্যার পরপরই থানা এবং ফাঁড়িতে বড় বাবুদের সাথে তার প্রত্যেক দিন হাজিরা দিতে হয়। চাঁদাবাজির বিষয়ে তাকে ফোন দিলে সে বলে ফাঁড়িতে স্যারের সাথে কথা বলতেছি। পরে ফোন দেন, ব্যস্ত আছি। মহাখালী আলোকিত টয়লেট মোমিন নামে তিনি পরিচিত মহাখালীতে নিজেকে বনানী থানা হকার লীগের সভাপতি। অঙ্গ সংগঠনের সকলের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলেন বলে তিনি স্বীকার করেন। ক্যাশিয়ার কে প্রশ্ন করলে নিজেকে কাউন্সিলর আত্মীয় পরিচয় দেন।

লাইনম্যান করিম বলেন, পুলিশ না চাইলে তো আমরা পারতাম না। ফুটপাত দখল চাঁদা তোলার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে মহাখালী বক্স ইনচার্জ রাজীব তালুকদারকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। খিলক্ষেত রেলওয়ের রাস্তা দখল করে আছেন আরেকটি সিন্ডিকেট ময়না বাহিনী, তার নিয়ন্ত্রণে চলে ৪৫০টিরও বেশি দোকান। পুলিশের ক্যাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে মান্নান, সে কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলের দোকান নিয়ন্ত্রণ করেন ফল ব্যবসায়ী সোবহান, আগে ছিল ফুটপাত দখল এখন চলছে রাস্তা দখল।

প্রশাসনের চোখে কাঠের চশমা। অনুসন্ধানে জানা যায় ফুটপাত দখলের চাঁবাজীর পাশাপাশি কয়েকজন লাইনম্যান অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে মাদক ব্যবসা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাইনম্যানদের চাঁদাবাজির কৌশল- দোকানে বসিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়া নেন। আগামী সংখ্যা থাকবে আরোও বিস্তারিত। (এই সংবাদের সম্পূর্ণ দায়ভার প্রতিবেদকের)।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়