(রাজধানীর বনানী-মহাখালী ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকার ফুটপাত দখল শেষ, রাস্তা গিলে খাবে লাইনম্যান নামধারী চাঁদবাজ আব্দুল করিম, বিল্লাল হোসেন, কাকুলির ঘড়ি জসিম, মহাখালীর টয়লেট মোমিন, জুতা করিম, লুৎফর সহ আরোও এসব চাঁদাবাজদের দখলে বনানীর ফুটপাত। এসব চাঁদাবাজদের শেল্টার দিচ্ছে প্রত্যেক এলাকার বিট ইনচার্জ, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।)
হাবিব সরকার স্বাধীন :
বড় বাবুদের দোকান প্রতি ৬০০/৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বনানী ভার্সিটি গলি, স্বপ্ন এ দুটি জায়গা যেন সোনার হরিণ। প্রতিদিন দোকান প্রতি ১২ শত টাকা চাঁদা, বনানী পোস্ট অফিস, ইকবাল টাওয়ার, বিকেতন স্কুল, সৈনিক ক্লাব,চেয়ারম্যান বাড়ি, কবরস্থান রোড, আনুমানিক ৩ শত দোকান নিয়ন্ত্রণ করছেন লাইনম্যান ঘড়ি জসিম, কাকুলিতে রাস্তার ফুটপাত সহ ভিক্ষুকের টাকাও নিয়ন্ত্রণ করছে জসিম। লুৎফর, মহাখালী জনস্বাস্থ্য মোর, জুতা করিম মহাখালী কাঁচাবাজার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সামনে ফুটপাত পরিচালনা করেন। রাজিব তালুকদার দীর্ঘ দিন ধরে তিনি মহাখালীর বিট ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছে।
ফুটপাত দখলের বিষয়ে তার সাথে অনেক বার কথা বলতে চাইলে তাকে কখনোও পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, অভিযানের নামে চলে দর কষাকষি। গরীবের ভাগ্য অভিযানের মধ্যে পৃষ্ঠ হয়ে যায়। যত অভিযান ততই দোকান প্রতি চাঁদা বেড়ে যায়। অথচ প্রত্যেকই একেক মামলার আসামী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের এই কৌশল অবলম্বন।
যেমন- কাকুলী ঘড়ি জসিম নামে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে তার বিচারও হয়েছিল। সর্বশেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় তার এসব কুকর্মের কারণে। অনুসন্ধানে জানা যায়, লাইনম্যান করিম দীর্ঘ দিন ধরে জাল টাকার ব্যবসায় জড়িত থাকায় র্যাবের হাতে আটক হয়। জামিনে এসে পূর্বের মতো চলছে তার চাঁদাবাজি। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক। সন্ধ্যার পরপরই থানা এবং ফাঁড়িতে বড় বাবুদের সাথে তার প্রত্যেক দিন হাজিরা দিতে হয়। চাঁদাবাজির বিষয়ে তাকে ফোন দিলে সে বলে ফাঁড়িতে স্যারের সাথে কথা বলতেছি। পরে ফোন দেন, ব্যস্ত আছি। মহাখালী আলোকিত টয়লেট মোমিন নামে তিনি পরিচিত মহাখালীতে নিজেকে বনানী থানা হকার লীগের সভাপতি। অঙ্গ সংগঠনের সকলের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলেন বলে তিনি স্বীকার করেন। ক্যাশিয়ার কে প্রশ্ন করলে নিজেকে কাউন্সিলর আত্মীয় পরিচয় দেন।
লাইনম্যান করিম বলেন, পুলিশ না চাইলে তো আমরা পারতাম না। ফুটপাত দখল চাঁদা তোলার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে মহাখালী বক্স ইনচার্জ রাজীব তালুকদারকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। খিলক্ষেত রেলওয়ের রাস্তা দখল করে আছেন আরেকটি সিন্ডিকেট ময়না বাহিনী, তার নিয়ন্ত্রণে চলে ৪৫০টিরও বেশি দোকান। পুলিশের ক্যাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে মান্নান, সে কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলের দোকান নিয়ন্ত্রণ করেন ফল ব্যবসায়ী সোবহান, আগে ছিল ফুটপাত দখল এখন চলছে রাস্তা দখল।
প্রশাসনের চোখে কাঠের চশমা। অনুসন্ধানে জানা যায় ফুটপাত দখলের চাঁবাজীর পাশাপাশি কয়েকজন লাইনম্যান অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে মাদক ব্যবসা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাইনম্যানদের চাঁদাবাজির কৌশল- দোকানে বসিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়া নেন। আগামী সংখ্যা থাকবে আরোও বিস্তারিত। (এই সংবাদের সম্পূর্ণ দায়ভার প্রতিবেদকের)।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply