বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

বন্যায় কবলিত দেশ, দুইশত বছরের ইতিহাসের রেকর্ড

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭
  • ৮৯ Time View

শ.ম. শাহজাহান সবুজ :
বন্যায় কবলিত দেশ, যা বিগত দুইশত বছরেও এমনটা হয়নি। সারা দেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী, অফিস ও কর্মস্থলগামী হাজার হাজার মানুষ। সংকট ছিল গণপরিবহনের। ছিল যানজটও।
অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৩টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যভাগ অতিক্রম করে আসাম পর্যন্ত বিস্মৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে রাত থেকে বৃষ্টিপাত অনেকটা কমে আসবে। ’
বগুড়া :
বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত ৩ উপজেলা সারিয়কান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৯১ টি গ্রামে পানি উঠেছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় বেড়ি বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু অংশে পানি চুয়ে পড়ছে। ধুনটে স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষায় মাটি, বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে বাধ রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাঁধ এর উপর অতিরিক্ত ভারি যানবাহন চলাচল করতে নিষেধ করা হচ্ছে। পানি বাড়ার কারণে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ আর আতংক বাড়ছে। বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কায় মানুষ রাত জেগে বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সারিয়াকান্দির ৯টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে উচু এলাকায় ছুটছে বানভাসিরা।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম মো. আবু হেনা জানান, ১ লাখ ২ হাজার ২৪৪ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। ১২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৯৮ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ফরিদপুর :
ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত ১২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে ফরিদপুর সদর উপজেলার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর জমির নানা প্রজাতির ধানসহ সবজির ক্ষেত। বেশ কয়েকটি স্কুল-মাদ্রাসায় পানি উঠায় সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর শহররক্ষা বাঁধের মোহাম্মদপুর বাজারের কাছে বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় শহরজুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়। রাতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধটি মেরামতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তীব্র পানির স্রোতের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে হাজিগঞ্জ বাজার। ভাঙ্গনের কবলে পরলে যেকোন মূহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে প্রায় ৩শ দোকান ঘরসহ হাজিগঞ্জ বাজার। হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীর হোসেন জানান, ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ২শ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এছাড়া দুটি কালভার্টসহ কাচাঁ পাকা ১০টি রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জয়পুরহাট :
উজানের ঢলে জয়পুরহাটে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বটতলী থেকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তায় হাটু পানি উঠায় যান চলাচলে বিঘœ ঘটে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড তুলশীগংগা নদীর উপর কালিতলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ভাংগা বাঁধের সংস্কার করেছে।  জয়পুরহাটের সদর, পাঁচবিবি, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও সদর উপজেলার কমপক্ষে ৫১টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ও শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক মোকাম্মেল হক জানিয়েছে ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। ইউনিয়নগুলো থেকে চাহিদা মোতাবেক বিতরণ করা হবে।
জামালপুর :
জামালপুরের মেলান্দহে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ২ স্কুল ছাত্রসহ ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ৪ স্কুল শিক্ষার্থী বেলা ১২টার দিকে ওই গ্রামে পানি দেখতে। এসময় সেলফি তুলতে গিয়ে মেলান্দহ উমির উদ্দিন হাই স্কুলের ছাত্র সজিব ও জিল্লুর রহমান পানির প্রবল তোড়ে ভেসে যায়। তাদের বাঁচাতে পথচারী লাল মিয়া পানিতে ঝাপিয়ে পড়লে সেও পানির স্রোতে ভেসে যায়। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ৩ জনকে উদ্ধার করা যায়নি। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দমকল কর্মীরা নদীতে তাদের সন্ধানের চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ৩ জনের খোঁজ মিলেনি। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালী :
টানা ভারি বর্ষণে নোয়াখালী পৌর এলাকাসহ জেলার বেগমগঞ্জ শরীফপুর, খানপুর, বাবু নগর, সদর, সেনবাগ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলার নিন্মঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জেলা শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
অফিস-আদালত, দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর সমূহ জলমগ্ন হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এদিকে গত ২০-২১ দিন থেকে বেগমগঞ্জে শরীফপুর ইউনিয়নের উত্তর খানপুরসহ নয়টি ওয়ার্ডে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। শরীফ পুর ইউনিয়নেরে উত্তর খান পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় পানি ঢুকে গেছে। এই ইউনিয়নে নেই কোন আশ্রয় কেন্দ্র। শরিফপুর ইউনিয়ের চেয়ারম্যান আমিনুল রসুল মিন্টু জানান, গত ২০-২১ দিন থেকে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। এই ইউনিয়নকে বর্ন্যা দুর্গত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য তিনি জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।  স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালী পৌরসভায় পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা এলেই সার্কিট হাউজ সড়কসহ পাশের বাসাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া খালের পানি প্রবাহ সচল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারের মধ্য দিয়ে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আসাদ উলল্লহ জানান, গতকাল রাত থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল :
টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর নলীন পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৬ ও কালিহাতীর যোগাচর পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  এদিকে, ঝিনাই নদীর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নওগাঁ-জসিহাটি বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।  সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নওগাঁ-জসিহাটি বেড়িবাঁধ ভেঙে নওগাঁ, জসিহাটি, তারটিয়া, তীরঞ্জ, ফুলকী ও ময়থা গ্রামসহ অন্তত তিনটি উপজেলার ২০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের আমন বোরো ধানের চারা বিনষ্টসহ উঠতি সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
অপরদিকে, কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া লৌহজং নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
দিনাজপুর :
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে সেই মৃতরা হলেন গড়বাড়ী গ্রামের মুলিয়া মুরমু (৬৭), আব্দুস সাত্তার (৬৫) ও  মফিজুর রহমান (২০)। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে দিবাগতরাত পর্যন্ত তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে জেলায় চলতি বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ জনে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃতরা সবাই পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এদের মধ্যে সোমবার পানিতে ডুবে নিখোঁজ মুলিয়া মুরমুরের মরদেহ আজ মঙ্গলবার উদ্ধার হয়। এছাড়া আব্দুস সাত্তার ও মফিজুর রহমান মঙ্গলবার বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে গিয়ে মারা যান।
উল্লেখ গত তিনদিনের বন্যায় দিনাজপুরে ২৭ জনেক মৃত্যু হল। এছাড়াও দুইজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল কাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পায়নি উদ্ধার কর্মীরা।
নওগাঁ :
নওগাঁয় বন্যা পরিস্থিতি ক্ষণে ক্ষণে ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদসীমার ২০০ সেন্টিমিটার উপর ও ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নওগাঁর ছোট যমুনা নদী অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে বন্যার পানি। শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আউটলেট দিয়ে প্রবেশ করে শহর প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক, জেলা দায়রা জজের বাসভবনসহ বাঙ্গাবাড়িয়া, বিহারী কলোনি, উকিলপাড়া, কালীতলা, সুপারীপট্টি মহল্লা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও প্রধান সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শহরবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পাঁচিল-গোপালপুর সড়ক মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভেঙে গেছে। ফলে শাহজাদপুর, চৌহালি ও বেলকুচি এ তিন উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া কৈজুরী, জালালপুর ও খুকনি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার বিঘা জমির বোনা আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় শাহজাদপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় সব গুলো গ্রামই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে কমপক্ষে দুই শতাধিক বাড়িঘর নতুন করে ডুবে গেছে। এ ছাড়া কৈজুরি, জালালপুর, সোনাতুনি ও গালা ইউনিয়নের যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে অন্তত দেড়শতাধিক বাড়িঘর যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এ সব পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গত দুই দিনে এ সব বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও উত্তর বঙ্গের প্রতিটি জেরা, থানা, ইউনিয়ন এবং গ্রামের অবস্থা প্রতিনিয়ত বেগতিক হচ্ছে। জনজীবন হয়ে উঠেছে কঠিন থেকে কঠিনতর। সবকিছু পানিতে তলীয়ে যাওয়া রান্না না করতে পেরে না খেয়ে মৃত্যুর মুখে ঝুঁখে পরছে সাধারন মানুষ। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত পানির কারণে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির প্রবল সংকট। জনজীবন হচ্ছে বিপন্ন। এমতাবস্থায় এসব পানিবন্দী অসহায় জনসাধারনকে সরকারের পক্ষ থেকে যতদূর করা সম্ভব সরকার তা সর্বাত্মকভাবে করে যাচ্ছে। এখন এই দূর্যগের সময় বাংলাদেশের সকলের সহযোগিতার আশায় তাকিয়ে রয়েছে এই দূর্গত সাধারন মানুষেরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়