শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ক‍েরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাঙচুর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করলে তার ক্ষতি হবে না: শাজাহান খান আগের মতোই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে: হানিফ হিন্দি সিনেমায় নৈতিকতা-মূল্যবোধের অভাব রয়েছে: কাজল যার আইনি প্যাঁচে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ দেশে খাদ্যের অভাব নেই: শিক্ষামন্ত্রী র‌্যাবের নেতৃত্বে উত্তরখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা রামনা ইউনিয়ন প্রবাসী সংগঠনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সৌদি আরবে সাময়িকভাবে ভারত থেকে চিংড়ি আমদানি নিষিদ্ধ

বাগেরহাটে কোচিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৩৫ Time View

মো: সোহরাব হোসেন রতন, বাগেরহাট:
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর একটি বিষয়ে কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্টে নেওয়া প্রশ্ন পত্রেই বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার খন্ডকালীন সহকারি শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে। তার কোচিং সেন্টারের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর অবিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে জড়িত শিক্ষকদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। শেখ মো. বেল্লাল হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের প্রভাতি শাখার খন্ডকালীন সহকারি শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। দেড় বছর আগে তাকে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নিয়োগ দেন। মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সন্ধ্যায় এই প্রতিনিধি কে অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন সহকারি শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেন স্কুল শেষে নিজ বাসভবনে  কোচিং সেন্টার খুলে তাতে তৃতীয় শ্রেণীর বেশকিছু শিক্ষার্থী কে ব্যাচ করে পড়ান। প্রায় পনেরো দিন আগে ওই শিক্ষক তার কোচিং সেন্টারে পড়া শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিত’ বিষয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেন।  গত ৯ ডিসেম্বর তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি’ বিষয়ে দেওয়া বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। তার কোচিং সেন্টারে পড়া শিক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট পরীক্ষার এক নং প্রশ্ন থেকে তিন নং প্রশ্ন এবং প্রতিটি প্রশ্নের ক, খ, গ সব কিছু হুবহু মিল রয়েছে। ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র সম্পূর্ণ একই। ওই শিক্ষক তার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্য স্কুলের করা প্রশ্নপত্র আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। ওই শিক্ষক পরিক্ষার আগেই কিভাবে ওই প্রশ্নপত্র পেলেন এবং অন্য কোন, কোন, শিক্ষক এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তা খুঁজে বের করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছেন। দুটি প্রশ্নপত্রে হুবহু মিল থাকার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদার সন্ধ্যায় এই প্রতিনিধি কে বলেন, পরীক্ষার আগেই তৃতীয় শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিত’ ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ অবিভাবকদের কাছ থেকে পেয়েছি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি এই বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের অস্থায়ী খন্ডকালিন শিক্ষক। তিনি স্কুল শেষে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তার গড়ে তোলা কোচিং সেন্টারে পড়ান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত করতে বিদ্যালয়ের সকারি প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই যারা জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রভাতি শাখার খন্ডকালীন সহকারি শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টার করলেও তার ফোনটি বন্ধ (০১৭১৩৯২২৪২৫) থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস সন্ধ্যায় এই প্রতিনিধি কে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বর্তমান সরকারের অবস্থান কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক তদন্ত কমিটির প্রধান হওয়াতে অভিযোগকারি শিক্ষার্থী ও অভিভাবক,রা হতাশা প্রকাশ করেছ যেহেতু অভিযুক্ত শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়