হাবিব সরকার স্বাধীন :
বাংলা একটা প্রবাদ আছে ঠাকুর ঘরে কে রে তখন চোর উত্তর বলে আমি কলা খাইনা। ইতিপূর্বে বহু চেয়ারম্যানের মুখোশ উন্মোচন করেছেন সংবাদকর্মীরা তাতে আনন্দিত সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী।
যেখানে অপরাধ সেখানে চলছে কলম সংবাদকর্মীদের যুদ্ধ। সংবাদপত্র চোখ রাখতে সর্বপ্রথম যে শব্দটি পরে দুর্নীতি। চাল চোর ডাল চোর চোরের হাট-বাজার বললেই চলে এমনই একজন অপরাধী চেয়ারম্যান কে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বাঞ্ছারামপুর সোনারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্দন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
গত সোমবার দুপুরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরমরিচাকান্দী বিলপাড় এলাকায় বিপুল সংখ্যক ভুক্তভোগী লোকের উপস্হিতিতে মানববন্দন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোনারামপুর ইউপির ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্দনে বক্তব্য রাখেন।
মামুন, শরীফ উদ্দিন, ডলী বেগম ও হালিমা আরো বহু ভুক্তভোগী মানববন্দনে মেম্বার শাহজাহান মিয়া অভিযোগ করে বলেন চেয়ারম্যান শাহীন গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার কথা বলে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।শাহীন চেয়ারম্যান প্রতিবন্ধী, মাতৃত্ব কালীন ভাতা সহ টি,আর,কাবিখা,এলজি এসপিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আৎসাত করে আসছেন। এছাড়াও মানববন্দনে ভুক্তভোগী উত্তেজিত জনতা শাহীন চেয়ারম্যানের অপসারন দাবী করে তার সকল অপকর্মের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান শাহীনের দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। হত দরিদ্রদের পাকা ঘর নির্মাণের জন্য এই ইউপির ৪শ পরিবারের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘর দেয়নি।এছাড়াও বিজিএফ, বয়স্কভাতাসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে। তারা এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে ওই চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবী জানান। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে এলাকার বিপুল সংখ্যক ভূক্তভোগী নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল গ্রামের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply