গোলাম সরোয়ার :
বাতাসে উড়ছে ধুলোবালি। এমন পরিস্থিতিতে এখানকার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ, আশেপাশের দোকানদার ও পথচারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। স্কিনের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের নানা রোগ, ক্যান্সারসহ ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দিনের বেলায়ও গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। পথচারীরা চলাচল করছেন নাক ও মুখে হাত দিয়ে।
ধুলোবালির কারণে আশেপাশের গাছের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। সব গাড়িকেই এই সড়কে এসে গতি কমিয়ে দিতে হয়। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। রাজধানীর উত্তরা-আব্দুল্লাহ্পুর-গাজীপুর সড়কের বর্তমান চিত্র এটি। গাজীপুরের মেয়র মহোদয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাজীপুর শহর নিয়ে মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সাময়িক ধূলাবালির সমস্যা হলেও অদূর ভবিষ্যতে এর সুফল ভোগ করবে জাতি। সরেজমিনে জানা গেছে, উত্তরা-আব্দুল্লাহ্পুর-গাজীপুর সড়কের বিশেষ করে হাউজবিল্ডিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত ফ্লাই ওভার, পানি নিঃষ্কাশনের ক্যানেল সহ কার্পেটিংয়ের কাজ চলায় মাটির ওপর গাড়ি চলাচল করায় এ ধুলোবালির সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন বিআরটিএর পক্ষ থেকে পানি ছিটানো হলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই আবার সেই আগের রূপে ফিরে যাচ্ছে সড়ক।
আবদুল্লাহপুরে সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, ‘এখানে পাঁচ মিনিট কোনো সুস্থ ব্যক্তি দাঁড়ালে অসুস্থ হয়ে পড়বে। ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করতে হচ্ছে।’ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন টঙ্গীতে অফিস করতে যান ময়না। তিনি বলেন, এই এলাকায় গাড়ি পাঁচ মিনিট থাকলে মনে হয় এখনি দম বন্ধ হয়ে আসবে ধুলোয়।
রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অথচ এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকরী হস্তক্ষেপই চোখে পড়ল না। আবদুল্লাহপুর এলাকার ঔষধের দোকানদার সাইফুল বলেন, ‘ধুলোর কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। আমরা খুবই বিপদে আছি।
এ সমস্যা আর কতদিন চলবে জানি না। এ বিষয়ে আবদুল্লাহপুর জোনের (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) টিআই মো. সিদ্দিকুর রহমান দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে এই ধুলোবালি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ধুলোবালির জন্য দুইটা মাস্ক পরতে হচ্ছে। মূলত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সড়কের সংস্কার কাজ করায় এমনটি হচ্ছে।
তারা এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে। জানতে চাইলে বিআরটিএর প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। যার কারণে এ ধুলোবালির সৃষ্টি হচ্ছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা প্রতিদিন কয়েক বার করে পানি ছিটাচ্ছি। কিন্তু দশ-পনের মিনিট পরে সেটি আবার আগের মতো হয়ে যাচ্ছে। সড়কের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply