নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় দু-পক্ষের গোলাগুলিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খামতাং পাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ৮ নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর আতঙ্কে বেশ কিছু এলাকাবাসী পালিয়ে এসে রোয়াংছড়িতে অবস্থান করছেন। তাদের খাবার-দাবার দেওয়া হচ্ছে। কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সাড়ে ১১টার দিকে আমরা খবর পাই রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাম পাড়ায় কিছু কিছু মৃতদেহ পড়ে আছে। সে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মরগে প্রেরণ করি। যতটুকু জেনেছি দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলির বিনিময়ের ঘটনায় এ হতাহত হয়েছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের কারো নাম ঠিকানা এখনো সনাক্ত করতে পারেনি। আমাদের অনুসন্ধান কাজ অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
আটজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে খামতাং পাড়ায় গিয়ে আটটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদিও কাদের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
অন্য দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের ফেসবুক পেজে নিহত সাতজনের নাম প্রকাশ করেছে।
তারা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম, লাল ঠা জার বম। সবাই খামতাং পাড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply