ফোরকান মাহমুদ:
বরগুনার বামনায় আসন্ন ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী স্ইাতুল ইসলাম লিটু মৃধার নির্বাচনী জনসভায় চারটি হাত বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্ত¡রা। এতে ৪জন সাধারণ সমর্থক গুরুতর আহত হয়। গত বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের তেলী ভাড়ানী বাজারে এ বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে। এছারাও প্রায় একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মানজুরুর রব মর্তুযা আহসানের বসত বাড়ীর সামনে কতিপয় দুর্বৃত্ত¡রা দুটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এ হামলায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে একই দিনে পৃথক দুটি বোমা হামলার ঘটনার পরে রাত ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সড়কে অবস্থিত আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্ত¡রা। তেলীভাড়ানী বাজারের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শি আ.ছালাম জানায়,
আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভার প্রায় শেষ মুহুর্তে প্রার্থীর বক্তব্য দেওয়ার আগে এই হামলা হয়। জনসভা মঞ্চের পিছনে আমুয়া খালের ওপার থেকে পরপর তিনটি হাত বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ঘটনা স্থলে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় চার জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেলে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকি দুজন বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। আহতরা হলেন, রিয়াজুল ইসলাম(৩০), মো. হানিফ(৫৫), মো. আবদুর রশিদ আকন(৫০) ও গনেশ চন্দ্র দাশ(৫০)এব্যপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান বলেন, সাধারণ ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য সরকার দলীয় প্রার্থীর ভারাটে লোকজন দিয়ে আমার বাড়ীর সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তাদের সভায় হামলা ও আওয়ামীলীগ অফিসে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে ভোটার দের মনে ভয় ঢুকাচ্ছেন যাতে তারা ৩১ তারিখ কেন্দ্রে না আসে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাইতুল ইসলাম লিটু বলেন, আমার সভায় যারা হামলা করেছে তাদেরকে আমার লোকজন দেখেছে এদের মধ্যে একজন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাও রয়েছে তারই মদদে এসব হয়েছেবলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় আমি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ এসএম মাসুদুজ্জামান বলেন, আমরা সকল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই ঘটনায় বামনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এ ঘটনার পরে বামনায় অতিরিক্ত পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরা মোতায়ন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, আমি নিশ্চয়তা প্রদান করছি, ভোটাররা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ভোট কেন্দ্র দিয়ে নিরাপদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ওই ভোটারের সকল প্রকার নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব আমার ও আমার আইন শৃংখলার দ্বায়িত্বে থাকা প্রশাসনের।
এ উপজেলায় কোন প্রকার অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ ভোটের দিন বা এর আগে কোন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টার করেন তাহলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply