নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিজ্ঞাপনমুক্ত যেসব বিদেশি চ্যানেল দেশে চলে তাদের সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ বিজ্ঞাপনমুক্ত বিদেশি চ্যানেল বন্ধ রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইন মানা বিদেশি চ্যানেলের যেমন দায়িত্ব, একইসঙ্গে যারা বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে সেই অপারেটরদেরও দায়িত্ব। কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনগণকে বিক্ষুদ্ধ করার জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত বিদেশি চ্যানেল বন্ধ রাখে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে যেহেতু তারা ফিড দিচ্ছে না। তাই এই চ্যানেলগুলোর যারা বাংলাদেশে অপারেটর তারাই সম্প্রচার বন্ধ করেছে।
দেশে বছরের পর বছর ধরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনসহ সম্প্রচার করা হচ্ছিল। বহুবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে, শেষ পর্যন্ত বিদেশি চ্যানেলের যারা স্থানীয় প্রতিনিধি সেই ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে, টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ অক্টোবর আইন কার্যকর করা হয়েছে। ওই সব চ্যানেলের সম্প্রাচার বন্ধ নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, দেশের আকাশ উম্মুক্ত, এখানে যে কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। কিন্তু অবশ্যই সেটি আইন মেনে করতে হবে। আইন অনুযায়ী, বিদেশি চ্যানেলগুলো দেশে কোনো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। একই আইন ইউরোপ আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোতেও আছে। সেই আইন মেনেই সেখানে ভিনদেশী চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করতে হয়।
বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেল চালানোর জন্য বাংলাদেশ প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ বঞ্চিত হচ্ছে তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশ বঞ্চিত হয়, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি বঞ্চিত হয়, সাংবাদিকরাও বঞ্চিত হয়। সেই কারণে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরামসহ সকলে অভিনন্দন জানিয়েছে।
বিদেশি চ্যানেলগুলো খুব সহসা বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে বাংলাদেশে ফিড পাঠাবে প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, তাহলে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। বিবিসি, সিএনএনসহ বহু চ্যানেল আছে যেগুলো বিজ্ঞাপনবিহীনভাবে বাংলাদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গত কয়েকদিন ধরে বক্তৃতা করছেন সব দলের ঐক্য করে তারা সরকারের পতন ঘটাবেন। এই বুলি যখন দিচ্ছেন, তখন খেলাফত মজলিস ঘোষণা করল আমরা আর বিএনপির সঙ্গে নাই। যেই ঐক্য আছে সেই ঐক্যই ধরে রাখতে পারে না। সেখান থেকে দলগুলো তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত সরকার পতনের হুমকি দেয়। এই কথা বলতে বলতে আসলে তারা নিজেদেরই পতন ঘটিয়ে ফেলেছে।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার বক্তব্য রাখেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply