নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের কার পাকিং-এ গাড়ি ঢোকা নিষেধ। পুরো কার পার্কিং এ তিন শতাধিক হকারের দখলে। ভ্যান গাড়িতে করে হকাররা শীতের পোষাক বিক্রি করে। কার পার্কিং-এ কোন গাড়ি ঢুকতেই দেয়া হয়না। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের ছত্রছায়ায় কার পার্কিং এর জায়গা হকার মার্কেটে পরিণত হয়েছে। হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
রেলওয়ে পুলিশ বলছে, ‘কার পার্কিং এর জায়গায় এবং আশেপাশে হকার উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।’ তবে উচ্ছেদের কিছু সময় পরে আবারো হকারদের দখলে চলে যায় জায়গাটি।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে নিয়মিত চলছে ফুটপাতের চাঁদাবাজী। ফলে উচ্ছেদ অভিযানে কোনো ফল হয় না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের পশ্চিম পাশের কার পার্কিং, লেভেল ক্রসিং এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হকারদের বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনার দোকান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা, খাবারের দোকান থেকে এক হাজার টাকা, কাপড়ের দোকান থেকে দেড় হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়।
তিন শতাধিক হকারের কাছ থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের চাঁদা পান, কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন নেতারা, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি ও জিআরপি) ও স্টেশন কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগের একজন নেতা বলেন, প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার বেশি চাঁদা তোলা হয়। শীতের দিন তাই কাপড়ের দোকান বেশি। এই টাকার মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা, জিআরপি ও আরএমবি ফাঁড়ির ইনচার্জ ৪০ হাজার, স্টেশন মাষ্টার ১৫ হাজার টাকা নেন।
বিমান বন্দর থানা কমিউনিটি পুলিশ ইউনিট-৪ সভাপতি শাহিনের ছত্রছায়ায় চলছে এ চাঁদাবাজি। প্রতিদিন শাহিন লাইনম্যান সবুজ, তসলীম, খান এর মাধ্যমে দোকান থেকে চাঁদা তোলে।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর স্টেশন জিআরপি ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। গতকালও অভিযান চালানো হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply