(তেইশ সালের সংকটের পূর্বাভাষ দেওয়া যেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর দাম বাড়ানোর অজুহাতে পরিণত না হয় সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। কারণ সংকট সম্পর্কে সতর্ক করা যেমন প্রয়োজনীয়, সমাধানের বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।)
শের ই গুল :
বাংলাদেশের প্রস্তুতি কী এবং কতটুকু? জনগণকে সাশ্রয়ী হওয়ার, সঞ্চয় করার পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে। কিন্তু যখন বিশাল বহর নিয়ে বিদেশযাত্রা, সচিবের বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণের প্রকল্প, বিপুল ব্যয়ে ইভিএম মেশিন কেনা, নানা প্রকল্পের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হয় তখন পরামর্শকে তামাশা মনে করলে কি দোষ দেওয়া যাবে? মন্দার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়লে যে দ্রব্যমূল্যের দাম কখনোই বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। সেরকম পণ্যেরও এখন বেশি দাম দিতে হচ্ছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হওয়ার আশায় সমান ভাবে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে চলছে দেশে রাজনীতি। ক্ষমতা পাওয়ার প্রত্যাশায় চলছে পাল্টাপাল্টি লড়াই। শুধু সংকটের আতঙ্ক নয়, সংকটের পাশাপাশি আশাবাদও আছে। সংকট নিয়ে আশঙ্কা ও আশাবাদের মধ্যেই আবর্তিত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশ্ব পুঁজিবাদী অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর তা করোনা দেখিয়েছে। এখন এক রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ভোগাচ্ছে সারা দুনিয়াকে। বাংলাদেশ তো সেই অর্থনৈতিক ধারাতেই চলছে। ফলে পুঁজিবাদী অর্থনীতির এক জায়গায় সংকট দেখা দিলে তার ঢেউ এসে লাগে বাংলাদেশেও। কৃষক করোনাকালে খাদ্য ও কর্মসংস্থানের ঝুঁকি মোকাবিলা করেছেন, যে শ্রমজীবী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন করেছেন তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়ালে বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকিও অনেকখানি সামাল দেওয়া যাবে।
বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্ত করে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা, শ্রমজীবীদের রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া, কৃষিতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা বাড়ানো, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম প্রাপ্তিতে ভূমিকা পালন করা, দুর্নীতি আর অর্থপাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া, গ্যাস-বিদ্যুতে দুর্নীতি কমানো আর বিনিয়োগ বাড়ানো হলে সমস্যার সাময়িক এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। তেইশ সালের সংকটের পূর্বাভাষ দেওয়া যেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর দাম বাড়ানোর অজুহাতে পরিণত না হয় সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। কারণ সংকট সম্পর্কে সতর্ক করা যেমন প্রয়োজনীয়, সমাধানের বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে একটা কথা উচ্চ পর্যায় থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে তেইশ সালের জন্য প্রস্তুত হোন। বাংলাদেশের জন্য সামনে কঠিন সময় আসছে। খাদ্য সংকট হবে, দ্রব্যমূল্য বাড়বে, বিশ্বব্যাপী অশান্তি সৃষ্টি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সমাধান হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, খরচ কমান, সাশ্রয়ী হোন, চাষাবাদে মনোযোগ দিন, বিকল্প জিনিস ব্যবহার করতে শিখুন আরও কত কি! কিন্তু সাধারণ মানুষ সাশ্রয় করবে কীভাবে? দ্রব্যমূল্য বাড়ছে কিন্তু তাদের আয় বাড়ছে না।
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হিসাব আর জিডিপি বৃদ্ধির হিসাবে তো তাদের পকেটে টাকা আসছে না। ফলে বাধ্য হচ্ছেন তারা কম কিনতে, কম খেতে, কম বাইরে যেতে। এর আবার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। মানুষ কম কিনলে বিক্রি হবে কম, ফলে উৎপাদন কমাতে হবে। উৎপাদন কমলে শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে হবে, শ্রমিকের সংখ্যা কমালে বেকারের মিছিল দীর্ঘ হতে থাকবে। পুঁজিবাদের এ এক সমস্যার দুষ্টচক্র। অর্থনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘বিশ্বে কি মন্দা’ আসন্ন শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির তিন মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের অর্থনীতি দ্রুতগতি হারাচ্ছে। ফলে আগামী বছরে সামান্য আঘাতেও মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বিশ্ব অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে তাতে বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, সম্ভাব্য এই মন্দায় মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে মূলত উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলো। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, উন্নত দেশগুলোর মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি বিশ্বকে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের চেয়েও খারাপ অর্থনৈতিক মন্দায় ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনে মন্দার কারণ বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে এই বলে যে, সম্ভাব্য মন্দার কারণ হচ্ছে, উন্নত অর্থনীতিগুলোর খারাপ নীতিগত সিদ্ধান্ত, জলবায়ু পরিবর্তন, কভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা সংকট। এবং তারা অনুমান করেছেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে কমে ২ দশমিক ২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে ১৭ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি দেখা দেবে, যা বিশ্বের আয়ের ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এক-পঞ্চমাংশ ঘাটতি নিশ্চয়ই কোনো ছোট ব্যাপার নয়। সে কারণেই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, মন্দা এড়ানো অনেক দেশের পক্ষেই কঠিন হবে। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন সংস্থার (আঙ্কটাড) প্রধান রেবেকা গ্রিনস্প্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্ব এখন মন্দার দ্বারপ্রান্তে এবং এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোও এ মন্দায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। রেবেকা বলেছেন, ‘আজ আমাদের সতর্ক করা দরকার যে আমরা একটি নীতি-প্ররোচিত বৈশ্বিক মন্দার দ্বারপ্রান্তে। আমাদের এখনো মন্দার প্রান্ত থেকে ফিরে আসার সময় আছে। কিছুই অনিবার্য নয়। আমাদের অবশ্যই পথ পরিবর্তন করতে হবে।’ তবে তিনি আবার এ কথাও বলেছেন, আসন্ন মন্দা এড়ানোর বিষয়টি পুরোপুরিভাবে নীতিগত ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ব্যাপার। আঙ্কটাড মহাসচিব রেবেকা বলেছেন, লাতিন আমেরিকার মধ্যম আয়ের দেশগুলোসহ আফ্রিকার নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এ বছর সবচেয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে।
তিনি বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো আশঙ্কাজনক মাত্রায় ঋণ পরিশোধের সংকট ও বিনিয়োগ স্বল্পতার মুখোমুখি হচ্ছে। ৪৬টি উন্নয়নশীল দেশ একাধিক অর্থনৈতিক ধাক্কার চরমমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। আরও ৪৮টি দেশ গুরুতর পর্যায়ের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা বৈশ্বিক ঋণ সংকটের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। আঙ্কটাড পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট এবং ২০২০ সালের করোনা মহামারী সংকটের চেয়েও এবার মন্দা আরও তীব্র হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সব অঞ্চল প্রভাবিত হবে, তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদের ঘণ্টা বাজছে। এর মধ্যে অনেক দেশ ঋণখেলাপির কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং বাজারকে ধাক্কা দিয়েছে। মার্কিন ডলারের উত্থানের ফলে যুক্তরাজ্যের পাউন্ড, ইউরো, চীনের ইউয়ান, জাপানের ইয়েন, ভারতের রুপি, বাংলাদেশের টাকাসহ অনেকে দেশের মুদ্রার দাম কমেছে। ফলে এ দেশগুলোর খাদ্য এবং জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। আবার অন্যদিকে, মার্কিন অর্থনীতিও রয়েছে ভীষণ চাপে। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো কেনাকাটা। তবে সম্প্রতি তাদের ব্যয়ের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশসহ অন্য দেশের ওপরও পড়বে কারণ গার্মেন্টস দ্রব্যের প্রধান ক্রেতা আমেরিকার সাধারণ মানুষ। সংকটের কবলে ইউরোপও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে ক্রমাগত। ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ এরই মধ্যে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রাক্কলন অনুসারে, ২০২২ সালে রাশিয়ান অর্থনীতি ৮ থেকে ২০ শতাংশ সংকুচিত হবে। ইউক্রেনের অর্থনীতিতে ক্ষতি ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ ট্রিলিয়ন হতে পারে। যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে কিন্তু যুদ্ধের ক্ষতি শুধু দুদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। গণতান্ত্রিক ও মুক্ত অর্থনীতির দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্তত ২৮ লাখ কোটি ডলারের উৎপাদন হ্রাস পাবে।
ওইসিডির মহাসচিব ম্যাথিয়াস কোরম্যান বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য বিশ্বকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। কারণ ইউক্রেনের গমের ওপর নির্ভরশীল ৪০ কোটি মানুষ আর রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপের প্রধান দেশগুলো। যুদ্ধের ফলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ ব্যাপারে সবাই একমত। প্রশ্নটা ছিল কতখানি মূল্য দিতে হবে এই নেতিবাচক প্রভাবের জন্য? ধারণা করা হয়েছিল, বিশ্বের অর্থনীতিতে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। কিন্তু সর্বশেষ পূর্বাভাসে ওইসিডি বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি চলতি বছর ৩ শতাংশ এবং আগামী বছর ২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ বিশ্বের অর্থনীতি আশঙ্কার চেয়ে বেশি মন্থর হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ নিল শিয়ারিং বলেছেন, সারা বিশ্বের মানুষের প্রকৃত আয় ও জীবনযাত্রার মান কমে যাচ্ছে।
ইউরোপ ও ব্রিটেনের অবস্থা তুলনামূলকভাবে আরও খারাপের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানিসহ বেশ কটি দেশ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর কয়েক দশক ধরে নির্ভরশীল ছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৮ গুণ হওয়ায় তা ইউরোপের শিল্পোৎপাদন, জীবনযাত্রার মান এবং সামাজিক শান্তি ও সংহতির জন্য নজিরবিহীন হুমকির সৃষ্টি করেছে। আসন্ন শীত নিয়ে আসছে আশঙ্কার নতুন বার্তা।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিশ্বায়ন ও উন্নয়নের অধ্যাপক ইয়ান গোল্ডিন বলেছেন, আয় কমে যাওয়ার ঝুঁকি, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও সামাজিক উত্তেজনা আমাদের একটি ভগ্ন বিশ্বের দিকে পরিচালিত করতে পারে। ১৯৭০-এর দশকের পর থেকে এ রকম কিছুর মুখোমুখি হইনি। তার আশঙ্কা, এ সংকট শিগগিরই শেষ হবে না। অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, খরা, নজিরবিহীন দাবদাহ বিশ্বব্যাপী পানি ও খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এসবই আগামী বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের পাশাপাশি জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি করবে। এ ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলো কী করবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশিয়ার দেশগুলোর বিনিময় হার আরও নমনীয় করে ফেলবে। ফলে তারা বেশির ভাগ বাহ্যিক চাপ মোকাবিলা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে।
তাছাড়া এশিয়ার প্রধান উদীয়মান বাজারগুলোতে শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপজ্জনক পর্যায়ে হ্রাস পাবে না। যেমন চীন ও জাপানের বিপুল রিজার্ভ রয়েছে। এর পরিমাণ যথাক্রমে ৩ ট্রিলিয়ন এবং ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সম্মিলিতভাবে এটি বিশ্বের সমগ্র বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এক- তৃতীয়াংশ। ফলে এশিয়ার এবং বিশ্বের বড় দুটি অর্থনীতি সংকট এড়ানোর সক্ষমতা রাখে। একই রকম আশাবাদ শোনা যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়েও। শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক মন্দা নাও ঘটতে পারে বলে মনে করছে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস। সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বেশির ভাগ ইউরোপীয় দেশ আগামী বছর বা তারও বেশি সময় মন্দার মধ্যে পড়তে পারে। তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী মন্দা এড়ানো অস্বাভাবিক নয়।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply