শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০২:১০ অপরাহ্ন

ব্রাসেলসে বিমান পাননি জেলেনস্কি, পেয়েছেন ‘সম্মান’

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২০ Time View

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

 

প্রায় এক বছর আগে রাশিয়ার হামলা শুরু হবার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি প্রকাশ্যে এই নিয়ে দু-বার দেশ ছেড়ে বের হলেন৷ গত বছর ওয়াশিংটন সফরের পর এবার তিনি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিলেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও ভাষণ দিলেন জেলেনস্কি৷ ইউক্রেনের জন্য আরো সমর্থন এবং দ্রুত উন্নত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধ করলেন তিনি৷

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের বলেন, তিনি খালি হাতে কিয়েভ ফিরতে আসেন নি৷ অস্ত্রের পাশাপাশি ইউক্রেনকে দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করার স্বপ্ন পূরণ করতে ব্রাসেলস আরও ইতিবাচক সাড়া চান তিনি৷ খবর ডয়চে ভেলের।

ইউরোপীয় নেতারাও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে যথেষ্ট সম্মান ও গুরুত্ব দিয়েছেন৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে জেলেনস্কিকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বেশ কয়েকবার দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তার প্রতি সম্মান জানান৷

কিন্তু উৎসাহ, সম্মান, সংহতি, প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জেলেনস্কি দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপের উপর বার বার জোর দিয়েছেন৷ বিশেষ করে যত দ্রুত সম্ভব আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েছেন তিনি৷ জেলেনস্কির স্পষ্ট বার্তা ছিল, আধুনিক যুগের সবচেয়ে ইউরোপ-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আপনাদের সঙ্গে আমরা ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মরক্ষার লড়াই করছি৷

ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার বেড়ে চলা হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যে আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রয়োজন, পশ্চিমা বিশ্ব সে বিষয়ে সচেতন৷ কিন্তু অনেক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় লাগছে৷ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগার এক টুইট বার্তায় লেখেন, তিনি জেলেনস্কির অনুরোধের ভিত্তিতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করবেন৷ তবে ইউরোপের অনেক নেতা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির আশঙ্কায় যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রশ্নে দ্বিধায় ভুগছেন৷

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে না দিলেও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতেও সময় লাগবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ইউক্রেনের জয় পর্যন্ত ইউরোপ সহায়তা চালিয়ে যাবে৷

কিয়েভে জেলেনস্কির অনুপস্থিতির সময়েও রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বে লাগাতার হামলা চালিয়ে গেছে৷ ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইউক্রেন আরো জোরালো অভিযানের আশঙ্কা করছে৷ মস্কো গত ২৪ ঘণ্টায় ব্যাপক সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে৷

রাশিয়ার সূত্র অনুযায়ী, বাখমুত ও ভুলেদারসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রুশ বাহিনী অগ্রসর হয়েছে৷ লুহানস্ক প্রদেশের ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকার গভর্নর সেরহি হাইদাই-ও রুশ বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার বর্ণনা করেছেন৷

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়