(পূনরায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হলে পুরো ভান্ডারিয়াকে অচল করে দেয়ার ঘোষনা।)
মো: লোকমান হোসেন, ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার বিকাল ৫ টায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য পরিষদ সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ ।
বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা আ লিক মহাসড়কের ভান্ডারিয়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের বটতলা থেকে চরখালী বিসমিল্লাহ চত্বর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মিরাজুল ইসলাম।
এতে বক্তব্য রাখেন ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খসরু জোমাদ্দার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খান এনায়েত করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মৃধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ লিয়াকত হোসেন তালুকদার, টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রশিদ তারেক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তালুকদার এনামুল কবির টিপু, সাধারণ সম্পাদক এহসাম হাওলাদার, ধাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান টুলু, ইকড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই হাওলাদার, জেলা পরিষদ সদস্য রোকেয়া বেগম প্রমূখ।
এ সময়ে বক্তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মামলা প্রত্যাহার না হলে জেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচীর দেয়ার ঘোষনা করেন। মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: ফাইজুর রশিদ খসরু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে জেপি নেতা রাজাকার পুত্র ও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কাউকে গ্রেফতার করছে না।
উল্টো আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। তিনি আরো বলেন, পুনরায় আ’লীগের বিরুদ্ধে আর কোন মিথ্যা মামলা বা হয়রানি করা হলে হরতালের মত কঠোর কর্মসুচী দেয়ার মাধ্যমে ভাণ্ডারিয়াকে অচল করে দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে রাজাকার পুত্র প্রবেশ করে ভাণ্ডারিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছে।
উল্লেখ্য : ১৭ এপ্রিল সোমবার রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) নেতা-কর্মীদের মধ্যে তেলিখালী ইউনিয়নে ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যবসায়িক কার্যালয় ও বাসভবনেও ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনার ৮দিন পর তেলিখালি ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন হাওলাদার এবং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি তালুকদার এনামুল কবির টিপুসহ ৩২ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে জাতীয় পার্টির (জেপির) উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply