(শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে মিথ্যা প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে সালনা নাসির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক ইফতেখারকে।)
স্টাফ রিপোর্টার :
চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। থানা, পুলিশ, আদালত কিংবা জেল হাজত থেকে অনেক সময় মিথ্যা সরকারি কাগজপত্র নকল করে অনেক কুচুক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে সুবিধা ভোগ করেছে এরকম ঘটনা অহরহ শোনা গেলেও এবার বেরিয়ে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপসচিবের স্বাক্ষর জালজালিয়াতি করে মিথ্যা প্রজ্ঞাপনের কাহিনী । শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বেসরকারি মাধ্যমিক (০১ শাখা) মোঃ মিজানুর রহমান উপসচিবের স্বাক্ষর জালজালিয়াতি করে প্রকাশ করেছে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন যার স্মারক নং দেয়া হয়েছে শিম/সা ১১ /৩৯ / ২০১১ /২৫৬ ।
যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে মনগড়া জারিকৃত পরিপত্র মোতাবেক অনিয়মকে নিয়ম দেখিয়ে একজন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এর স্বাক্ষর জাল-জালিটি করে নিজেদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চরিতার্থ করার নীল নকশা এ বিষয় নিয়ে উপসচিব মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে প্রাণের বাংলাদেশের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে তিনি জানান ১৩/০২/২৩ প্রজ্ঞাপনটি নকল আমি এরকম কোন কাগজে স্বাক্ষর করি নাই এই নকল বিষয়টি যেন জনস্বার্থে কোন শয়তানি মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে না পারে ।
কিন্তু ইতিমধ্যে এই মিথ্যা প্রজ্ঞাপন টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করলে গত ২৭/২/২০২৩ মোঃ আবুল খায়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যেখানে উল্লেখ করা হয় এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য এবং বর্ণিত ভুয়া পত্রের আলোকে কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং আরো উল্লেখ করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও, ব্যক্তি এমপিও, পদোন্নতি, বিষয় খোলা, বিভাগ খোলা ও নাম পরিবর্তন ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা বিভাগের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে ।
ভুয়া প্রজ্ঞাপনের কারণে সালনা নাসির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে অবৈধভাবে শিক্ষক ইফতেখারকে নিয়োগ দেওয়া হয় । এবং এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একজন সৃজনশীল শিক্ষক অধ্যক্ষ নাজমা ম্যাডামকে সুকৌশলে ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে তার জায়গায় কোন চোরকে বসিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার প্ল্যান করে আসছিল এই কচুক্রী মহলের ষড়যন্ত্রকারীরা । শয়তানি নাটের গুরু যথাক্রমে শিক্ষক ইফতেখারুল ইসলাম সাইফুল ও মুজিবুর রহমান এবং গোলাম মোস্তফার নির্দেশে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী নাসির হাসান ,আখি, আমেনা, বৃষ্টি ,লাবনী, টুম্পা এবং আশিক, শিহাব ,ফাহিম এবং আখির মা আফরোজা আবার আমেনার বাবা আবুল বাশার বাচ্চুকে দিয়ে ভাড়াটিয়া লোকজন ব্যবহার করে সালনা নাসির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে গত ১৪/০২/২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ।
আবুল বাসার বাচ্চু নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এই ঘটনার নাটক তৈরি করে। এসব নাটকের পিছনে রয়েছে আবার রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সাইফুলের হাত তার লোকজন প্রবেশ করে হাতে থাকে লাঠিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তারা সকলকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ভাঙচুর চালায়। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক সময়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান পুলিশ বাহিনী এবং ইউএনও কে ফোন দিলে তারা এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল বারেক তিনি কৌশলে চেয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকের পথটি ভাগিয়ে নিবেন , এই বিষয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা চিঠিপত্র দিয়ে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং ঘোলা পানিতে মাছ ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করে । অবশেষে তিনি নাটক করে প্রধান শিক্ষকের পথটি ভাগিয়ে নিতে না পেরে নিজেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেয় এবং কিছুক্ষণ পর তার মনোনীত শিক্ষার্থীদের কে ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে আন্দোলনের নামে সেলিব্রিটি করবে এমনটা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করতে হবে এই মর্মে আন্দোলন করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটালে বিষয়টি মামলায় ঘরায়।
এ সময় বহিরাগত কিছু লোক শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করলে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ময়মনসিংহ ঢাকা গামী রাস্তা অবরোধ করলে এ সময় পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ তুলে স্কুলে ফেরত যেতে অনুরোধ করে এরই মাঝে বহিরাগত কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে প্রিন্সিপাল কে অবরোধ করে রাখে । পুলিশ দুই পক্ষের সাথে কথা বলে মীমাংসা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে থাকে এবং পুলিশ প্রিন্সিপাল কে উদ্ধার করতে গেলে কতিপয় শিক্ষার্থী ও স্কুল ড্রেস পরিহিত বহিরাগতরা পুলিশের উপরে হামলা চালায় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এরই প্রেক্ষিতে সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল নাজমা ম্যাডামের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় তিনি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। তিনি গত ৩০ বছর যাবত এই প্রতিষ্ঠানটিকে নেতৃত্ব দিয়ে একটি সুন্দর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন বলে এলাকা বাসি জানায় । নাম না জানা তে ইচ্ছুক স্কুলের কিছু প্রকৃত ফুকেরা দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান একটি ষড়যন্ত্র কারিচক্র অনেকদিন যাবত এই প্রতিষ্ঠানের সুনামকে ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এবং আমাদের দীর্ঘ বছরের প্রিন্সিপাল কে ছড়িয়ে তার জায়গাটি দখল করে নেয়ার পায়তারা করে আসছে। এরাই নকল কাগজপত্র তৈরি করে এরকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার সহ ঊর্ধ্বতন মহল তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় তার যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোপানে কোন ষড়যন্ত্রকারী জাল-জালিয়াতিকারী প্রতারকদের স্থান নেই সবাই আসবে আইনের আওতায় এমনটাই প্রত্যাশা সবার আগে সোনার বাংলা পরে অন্য সব সাধু সাবধান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply