ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চেক জালিয়াতির মামলায় সাংবাদিক পরিচয়ধারী শরিফ হোসেন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ভারই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। আটক শরিফ কে শনিবার (৬ জুন) দুপুরে কারাগারে প্রেরণ করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৫ জুন) ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভালুকা থানা পুলিশ।
জানা যায়, কখনও আনসার সদস্য কখনও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শরিফ হোসেন। গত দুই বছর আগে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভূঞাপুর পৌর এলাকার ফসলান্দি গ্রামের জয়নাল ড্রাইভারের স্ত্রী হাসিনা খাতুনের কাছ থেকে তার মেয়েকে আনসারে চাকরি ও ২৫জন আনসার সদস্যের রেশন কার্ডের মালামাল কিনে দেয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করে শরিফ। পরে ভুক্তভোগী হাসিনা খাতুন ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতারক শরিফ হোসেন আসামী করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত সেই মামলায় শরিফের অনুপস্থিতিতে একবছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
প্রতারণার শিকার হাসিনা খাতুন জানান, মেয়েকে চাকরি ও রেশন কার্ডের মালামাল কিনে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় কৌশলে ৩০ লাখ নেয় শরিফ। এতে শরিফের কাছ থেকে একটা চেক রাখা হয় জামানত হিসেবে। কিন্তু পরে চাকরী ও রেশন কার্ডের মালামাল পায়নি। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। এলাকা থেকে সে পালিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালে কোর্টে চেক জালিয়াতি মামলা দায়ের করি। কিন্তু তাতেও সে আদালতে হাজির হয়নি। পরে আদালত শরিফের অনুপস্থিতিতে তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার শরিফের নামে একাধিক মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শরিফ হোসেন কে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভালুকাতে সে এস টিভির সাংবাদিক ও ভালুকার একটি প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু সেখানেও প্রতারণার আশ্রয় নেয় সে। শুক্রবার ভালুকা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply