মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

ভেড়ামারার বিভিন্ন আড়তে চাউল মজুদ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ৫০ Time View

প্রতিদিনই দাম বাড়ছে, টাস্কফোর্সের অভিযান সহ নিয়মিত বাজার মনিটর জরুরী
ইসমাইল হোসেন বাবু,ভেড়ামারা(কুষ্টিয়া):
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। এখানকার বাজারে প্রতিকেজি চাল সর্বনিম্ন ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে করে চরম  বেকায়দায় পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
ভেড়ামারার বিভিন্ন আড়তে হাজার হাজার বস্তা চাউলের মজুদ করেছে চিহ্নিত অসাধু ব্যবসায়ীচক্র। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ী নামধারী লুটেরারা চাউলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এবং সর্বস্তরের মানুষকে জিম্মি করে বেপরোয়া ভাবে চাউলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটে চলেছে। শুধুমাত্র খাদ্য অধিদপ্তরের একটি লাইসেন্স নিয়ে তারা ব্যবসায়ী সেজে বিপুল পরিমান চাউলের মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। প্রশ্ন উঠেছে একজন চাউল ব্যবসায়ী কত পরিমান চাউলসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী মজুদ করতে পারেন? একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ভেড়ামারার গুটিকয়েক আড়ৎদারেরর হেফাজতে কমপক্ষে প্রায় ১লাখ বস্তা চাউল চাউল মজুদ থাকার পরও বাজারে প্রতিদিনই অযৌক্তিক ভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি হলেও দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের বাজার মনিটরিংয়ে কেন কোন ভূমিকা নেই, সে প্রশ্ন সকলের।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন হাঁট-বাজার গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পরে দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে ঈদের আগে থেকেই ধান-চালের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। দ্বিতীয় দফা এলসির শুল্ক প্রত্যাহার করলেও তা চালের দর নিয়ন্ত্রণে তেমন প্রভাব ফেলেনি। ভেড়ামারার চালের আড়তদাররা জানান, ঈদের আগে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি এলসি ৩৯, মিনিকেট ৫২, আটাশ চাল ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ঈদের ১ সপ্তাহ পর তা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি এলসি ৪৪, মিনিকেট ৬০, আটাশচাল ৫২ টাকা, মোটা চাল ৪৩ টাকায়। আজ সোমবার ভেড়ামারায় পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি এলসি চাল ৪৮, মোটা চাল (গুটিস্বর্ণা) ৪৮, আটাশ চাল ৫৭ এবং মিনিকেট ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি এলসি চাল ৫০, মোটা চাল (গুটিস্বর্ণা) ৫০, আটাশ চাল ৬০ থেকে ৬২, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে দফায় দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধিতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। শুধু বন্যার কারণে নয়, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে একটি চক্র চালের মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা।
রিক্সা চালক সুরুজ আলী বলেন, ‘রিক্সা চালাই কামাই (ইনকাম) হয় ভালোই। কিন্তু বাড়ির বাজার করতে গিয়ে টাকা শেষ। চালের দাম তো প্রতিদিন বাড়তেই আছে এক টাকা-দুই টাকা করে। আর সবজির বাজারেও দাম বেশি। কোন সবজি তো ৩৫ থেকে ৪৫ টাকার নিচে নাই। সবজির মধ্যে শুধু আলুটাই একটু দাম কম। আর মোটা চাল বাজারে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার নিচে নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়