বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১২:১৩ অপরাহ্ন

ভোগান্তিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জনসাধারণ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২
  • ২১ Time View

 

 

গাজী মামুন :

 

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সর্বস্তরের মানুষের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, পদ্মা সেতু নির্মাণ সহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রমেই পেয়েছেন এসডিজি অ্যাওয়ার্ড শুধু প্রশংসা নয় এদেশের মানুষের গর্বের বিষয়।

বেশির ভাগ সেবা পেতে স্থানীয়দের যেতে হয় নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে- মন্ত্রী, এমপি কিংবা মেয়র পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ হয়না সাধারণ মানুষ গুলোর। অবশেষে যেতে হয় স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বেশির ভাগ কাউন্সিলরকে তাদের অফিসে গিয়ে পাওয়া যায় না, সেবা নিতে আসা মানুষের মধ্যে পুরুষ যেমন থাকে তেমনি নারীরাও থাকে। অনেক নারীরা শিশু বাচ্চাকে রেখে কাউন্সিলরের অফিসে, কাউন্সিলরকে পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করে, সেই সাথে বাড়ির রান্না করার সময়টা চিন্তা করতে থাকে কাউন্সিলর অফিসে বসে।

কাউন্সিলরকে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে করতে মোবাইলে ফোন করলে অপরিচিত নাম্বার থাকায় তাদের ফোনগুলো রিসিভ করা হয় না।

যদিও কখনো কাউকে পাওয়া যায়, পাওয়া গেলেও সেবা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তি কাউন্সিলর পদে রয়েছেন সেই সাথে আরো কয়েকটি পদেও যুক্ত রয়েছেন। হয়তোবা একই ব্যক্তি বিভিন্ন পদে যুক্ত থাকার কারণে বিচার, সভা, সেমিনার সহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তারা ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

নাগরিকসেবা সঠিকভাবে দেয়ার জন্য কাউন্সিলরদের অফিসের ভাড়া দেওয়া হয় সিটি কর্পোরেশন থেকে, জানা যায় শুক্র ও শনিবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাউন্সিলরদের অফিস করার কথা। এসব ভোগান্তির শিকার হওয়ার জন্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় না জনপ্রতিনিধিদেরকে। নির্বাচন এলেই নেতাদের আকুতি-মিনতি থাকে ভোটারদের প্রতি ভোট পাওয়ার জন্য। বিনয়ের সাথে নতশিরে ভোটারদেরকে সম্মানের সাথে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর বেরিয়ে আসে জনপ্রতিনিধির আসল দৃশ্য।

তবে এসব হয়রানি থেকে রেহাই চায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো। আগামী দিন গুলোতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোন জনসাধারণকে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ সাহেবের প্রতি দাবি সমাজের সচেতন নাগরিকদের।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়