শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০২:০০ অপরাহ্ন

মময়মনসিংহের নান্দাইলের ১০ টাকা কেজির চাল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার খাদ্যগুদামে, জনমনে প্রশ্ন মতি এ চাল পেল কোথায়?

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩১ মে, ২০২০
  • ২১ Time View

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি খাদ্যগুদামে নান্দাইল এলাকার ১০ টাকা কেজির প্রায় ৪ মে. টন চাল সরকারের আভ্যন্তরীণ বোরো মৌসুমের চাল সংগ্রহ কর্মসূচীর আওতায় জমা করলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার এক অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেন।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ঈদের পর মঙ্গলবার ( ২৬ মে ) নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গাইল গ্রামের জনৈক মৃত ডেন্ডু মিয়ার পুত্র মতি মিয়া আঠারবাড়ির মিলন মিয়া তার মালিকাধীন তালিকাভুক্ত রাইস মিল মেসার্স ফরিদা রাইস মিলের মাধ্যমে চলতি বোরো মৌসুমেরে সরকারের আভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহের কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজির পুরান চাল প্লাষ্টিকের বস্তায় ভর্তি করে ৭৯ বস্তা প্রায় (৪ মে. টন) চাল গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় আঠারবাড়ি খাদ্য গুদামে জমা করেন।

খবর পেয়ে ঈশ্বর গঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেন গুদাম পরিদর্শন করে চাল জব্দ করেন এবং গুদামটিতে সিলগালা করে দেন। এরপর তিনি চুক্তিবদ্ধ মেসার্স ফরিদা রাইসমিলটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেন।পরবর্তী সময় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেন এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রিপোর্ট খাদ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালকের বরাবর প্রেরণ করলে, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খাদ্যগুদাম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং গুদামের সকল স্টাফকে তাৎক্ষনিক বদলি করে দেন এবং জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে এবিষয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।বর্তমানে কমিটি বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করছেন।

চলগুলো নান্দাইলের ১০ টাকা কেজির চাল কিনা এব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুর রহিম সুজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জব্দ করা চালের বস্তায় তো নান্দাইলের নাম লিখা নেই, আর নান্দাইলের চালের মজুদ ঠিক আছে।

এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে জব্দকৃত চাল গুলো কোথাকার জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নান্দাইলের জনৈক মতি মিয়া ফরিদা রাইস মিলের সহযোগিতায় সরকারের বোরো মৌসুমের আভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ কর্মসূচীর আওতায় চালগুলো গুদামে অবৈধভাবে ঢুকিয়েছিল। তিনি আরো বলেন প্লাষ্টিকের বস্তাতে ভর্তি করে ৭৯ বস্তা চাল নান্দাইল থেকে মতি মিয়া ডুকিয়েছিল।

আগামী শনিবার উম্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে জব্দকৃত চাল বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া এবিষয়ে বর্তমানে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) শাহ আলাউদ্দিন ও সহকারী রসায়নবিদ উত্তম কুমার। গত দু’দিন ধরে তদন্তদল গুদামটিতে তদন্ত কাজ পরিচালনা করছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ফৌজধারী মামলা রুজু করা হবে জানান তিনি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়