সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের মধ্যে থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মজিবুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা করেন এলাকার এক ধরনের বাহিনী। গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ‘সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের’ মধ্যে জুম্মার নামাজ আদায় কালে মনির ও মজু নামের একটি স্থানীয় চক্র তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজিবুর রহমানের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছেন। এক পর্যায় স্থানীয় নিয়মিত নামাজ পড়ুয়া মুসল্লিদের ব্যাপক হৈ-চৈ দেখা দিলে মসজিদের ইমাম মাইকিং করে উভয় পক্ষের সমঝোতার জন্য শিথিল হতে বলেন।
জানা গেছে, মনির ও মজু পিতা সাইজদ্দিন, সাং মিজমিজি পাইনাদি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসী বাহিনী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মধ্যে হামলার প্রতিক্রিয়া শুরু করেন।
এলাকাবাসীর মতে, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের’ সভাপতি মো: মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মজু মিয়া’র মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শুক্রবার দিন জুম্মার নামাজ আদায় কালে কথা কাটাকাটিতে এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ড শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে উভয়ের মধ্যে হাতা-হাতি ও ধরাধরি হয়ে বিশাল আকারে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে মজু মিয়া বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের’ সভাপতি মজিবুর রহমান ও আমি সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল আছি। আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় নামাজের মধ্যে কারেন্ট গেলে, জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকে না। এর জন্য চার সপ্তাহ ধরে মসজিদের মুসল্লিদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে থাকি, জেনারেটর কেনার জন্য। কিন্তু তিনি একদিনও এই মসজিদে নামাজের জন্য আসেনা এবং এক মাত্র একদিন নামাজে এসে ওই টাকার হিসাব চান তিনি। এটি হিসাবে গড়-মিল হলে এক পর্যায় তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে আরো এক সন্ত্রাসী চক্র নিয়ে আমাদেরকে হামলা করেন।
মজিবুর রহমান বলেন, মজু ও মনির চক্রটি আমাকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মসজিদের হামলা চালান। আমার উপর এটি একটি অপরিকল্পিত হামলা। কারণ তারা সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত এবং ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, জমির দলিল নকল করে সাধারণ মানুষের জমি দখল ও জাল টাকার ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে তারা রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন এবং ঐ ধরনের চক্রদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ মূলক মামলা আছে বলে জানান তিনি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply