শের ই গুলঃ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধ সমূহের বিচার করা। এর আওতায় পড়ে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব অপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করে একটি ইতিহাসের সৃষ্টি করেছেন। দেশের বিভিন্ন বিপদে, সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজাকার সাদৃশ্য কিছু দেশের দুশমনরা সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, কখন তাদের কালো ছোবল বসাতে পারে এ জাতির কপালে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আর বর্তমান সময়ের করোনা ভাইরাস যুদ্ধের চাল চোরের যোগসুত্রতা এবং তাদের অসৎ আচরণ একই সুতায় গাঁথা, তাদের দৌরাত্মে জাতি আজ বেসামাল।
মহামারী করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার তার সাধ্যমতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই মহা সংকট থেকে মুক্তি পেতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সর্বসাধারণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি যেন শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো অবস্থা। এর মধ্যে কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি সরকারী ত্রাণ সঠিকভাবে বিতরণের পাশাপাশি নিজেদের অর্থায়ণেও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সবার ঘরে ঘরে। ভালো মানুষের মধ্যে কিছু অসৎ মানুষের অবস্থান সবসময় থাকে। তাদেরকে এখন চিহ্নিত করার সময় হয়েছে।
যারা পূর্ব থেকেই স্বাধীনতার বিপক্ষে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করেছে, তারা কোনদিনও সরকারী ত্রাণ জনসাধারণের মাঝে সঠিক ভাবে বিতরণ করবে না। তারা তাদের প্রবেশই হচ্ছে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য। শুধু চাল চুরি করেই ক্ষ্যান্ত নয়, চলছে ফটোসেশন, সেল্ফি বাণিজ্য সহ তাদের কাছে ত্রাণ চাইতে আসা অসহায় মানুষদের প্রতি নিষ্ঠুর দূর্ব্যবহার। এসব কিছুই প্রমাণ করে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি, মানবতা বিরোধীদের উত্তরসূরী।
বেশ কয়েকটি ঘটনা সকলের মাঝে নাড়া দিয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ হয়ে বেকায়দায় পড়া গরিব অসহায় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে সরকার। তবে বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ত্রাণের চাল চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। হাতেনাতে ধরা হচ্ছে ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জনপ্রতিনিধি এবং ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার।
৬৪ জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সরকারি তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চাল বরাদ্দ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন। আর বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৩ মেট্রিক টন, প্রয়োজনে বর্তমান সময়ে পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে বরাদ্দ। বিতরণ করা চালে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৫টি। আর উপকারভোগী লোকসংখ্যা তিন কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৭২ জন। আমার প্রাণের বাংলাদেশ’র জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২৫ জেলায় প্রায় ৩৪১ মেট্রিক টন চাল চুরির অভিযোগ রয়েছে। এসব চাল চুরি বা আত্মসাতে জড়িত থাকার ঘটনায় ১০২ জনকে আটক করা হয়েছে।
মামলা হয়েছে ৯১টি। তবে গাজীপুর, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, যশোর, ঝিনাইদহ, বান্দরবান, রাঙামাটি, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় চাল চুরির বড় কোনও ঘটনা জানা যায়নি এবং এ সংক্রান্ত গ্রেফতার বা মামলাও নেই। জেলা ভিত্তিক তথ্য: ১. ভোলা: স্থানীয় সরকার বিভাগের ভোলার উপ-পরিচালক মামুদুর রহমান জানান, জেলায় ওএমএস এবং জেলেদের চাল আত্মসাতের সময় প্রায় ৩ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার হয়েছে। চাল চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ৯টি। এরমধ্যে লালমোহনে চারটি, চরফ্যাশনে দু’টি, দৌলতখানে একটি ও মনপুরায় দু’টি।
চাল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকায় ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। এরমধ্যে জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) দুই জন। বরখাস্ত হয়েছেন দুই জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তিন জন ইউপি সদস্য। ২. ঝালকাঠি: ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারা বুনিয়া গ্রামে বসবাস করে বিএ পাশ রিক্সা চালক হানিফ বিশ্বাস ওরফে দুলাল (৫০), করোনা ভাইরাসে যখন সারাদেশ লকডাউন, চলছে না রিক্সা। পেটের তাড়ণায় আর পরিবারের জন্য সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের কাছে যায় সরকারী ত্রাণের চাল চাইতে।
সিদ্দিক জানায়, চাল দেওয়া যাবে না, কারণ সে চেয়ারম্যানের শত্রু পক্ষের জয়ীতা হেলেনকে কেন রিক্সায় টানে, দুলালের আকুতি, আমি রিক্সা চালাই, যে ভাড়া দেয় তাকেই রিক্সায় উঠাই, এই কথা বলতে না বলতেই ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের খাস চামচা এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার প্রধান আসামী মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, এই বৃদ্ধ বিএ পাশ রিক্সাওয়ালাকে বেদড়ক মারপিট করে ও বুঁকে পিঠে কিল ঘুষি দিয়ে জামা ছিড়ে ফেলে।
এখন প্রশ্ন কে এই চেয়ারম্যান সিদ্দিক? কে এই ইউপি সদস্য বাচ্চু? চেয়ারম্যান সিদ্দিকের বাবা ছিল পিস কমিটির চেয়ারম্যান পর্যায়ক্রমে সিদ্দিক হয় সাতুরিয়া বিএনপি’র সেক্রেটারী, তার ভাই সন্ত্রাসী ঠান্ডু করতো জাতীয় পার্টি, ডাকাতি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে সিদ্দিকের জেল হয়। জেল খেটে বের হয়ে তার ভাই ঠান্ডুকে নিয়ে চলে গ্রামের হিন্দুদের জমি দখলের পালা, দুই ভাই মিলে তাদের বাহিনী নিয়ে পর্যায়ক্রমে হত্যা করে বাবু মোল্লা, আলম সহ বেশ কয়েকজনকে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিকম মামলা চলমান আছে।
আদালতের রায়ে তাদের হয় যাবৎ জীবন জেল। আবার চতুর এই সিদ্দিক ঠান্ডুরা জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে হেরে যায়। পরবর্তীতে যোগ দেয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে। সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী করে আওয়ামীলীগের ইমেজকে পুঁজি করে বনে যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এবার প্রধামন্ত্রীর হাইব্রিড নিধন শুদ্ধি অভিযানে প্রমাণিত হয়, তারা শতভাগ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতা। আওয়ামীলীগের সকল কমিটি থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।
এখন জাতি তাদের নিকট হইতে কি আশা করতে পারে? এমনটাই প্রশ্ন করেছেন সাতুরিয়া ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সুশীল সমাজের মানুষেরা। এ দিকে ঝালকাঠী জেলায় আত্মসাতের চেষ্টা করার ১৯২ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে তিন জন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিরের বাসা থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে।মামলার পর তিনি পলাতক রয়েছেন। জেলায় চাল চুরি সংক্রান্ত মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে, একটি থানায় নিয়মিত মামলা, অপরটি জরিমানা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিতকরেছেন। ৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে এএমএসের ৩০০ বস্তায় ১৫ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। চাল আত্মসাতের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে এর সঙ্গে কোনও জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। চাল উদ্ধারের ঘটনায়চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪. কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে চার চুরির ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৫ জন। কুলিয়ারচর উপজেলায় টিসিবির চার হাজার কেজি (চার টন) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। টিসিবির ডিলার নাসির মিয়া ও তার সহযোগী রতন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় ওএমএসের ১৩১ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে। তাড়াইলের দিকদাইর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ গ্রেফতার হয়েছেন ৮ জন।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় ত্রাণের চাল আত্মসাতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামান পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত প্রতি প্যাকেট থেকে ২/৩ কেজি করে চাল সরিয়ে নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ ২১৯ প্যাকেট ত্রাণসহ তাকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জেলা পরিষদের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই উপজেলায় টিসিবির ডিলার নিখিল ও তার সহযোগী নাসির মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩৯ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৫. দিনাজপুর : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ২৬ টন, সদর উপজেলায় ৩ টন, বিরামপুরে ২৭০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর উপজেলার ওএমএস কর্মসূচির চাল চুরির অভিযোগে ডিলার মোতাহার হোসেনের ম্যানেজার সুলতান মাহমুদকে আটক করে ভ্রাম্যমাণআদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনায় চাল ডিলারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মোতাহারের ডিলারশিপ বাতিলও করা হয়। ৬. পাবনা : পাবনার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরির ১১.৬৫ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার হয়েছে। চাল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধি। এজন্য একজন চেয়ারম্যানকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় মামলা হয়েছি দুটি। ৭. নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ত্রাণের চাল আত্মসাৎ ও মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কবির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে চাল চুরি বা আত্মসাতের কোনও অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ৮. বরিশাল : বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া ১২. ৩৩ মেট্রিক টন চাল (১২ হাজার ৩৩০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন।
এরমধ্যে জনপ্রতিনিধি ২ জন। আর চাল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় বহিষ্কার হয়েছেন দুই জন চেয়ারম্যান এবং দুই জন মেম্বার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। আর যারা পলাতক রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। ৯. কক্সবাজার : কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫ মেট্রিক টন চুরি হওয়া চাল উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। চাল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকায় পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি এখনও পলাতক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১০. শেরপুর : শেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১.৩১৫ টন (১৩১৫ কেজি) চুরি যাওয়া চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা এবং তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধি (সংরক্ষিত নারী সদস্য) রয়েছেন। ১১. চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলায় কী পরিমাণ চাল চুরি হয়েছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। ৩৬১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে ১৮ মেট্রিক টন চাল হয়। এছাড়া নগরীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন চালের গুদাম থেকে ১৫০০ খালি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ৮ জনের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে দুই জন ডিলারসহ ৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় ত্রাণের চাল দিয়ে ছবি তুলে সেই ত্রাণ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চাল চুরির ঘটনায় চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৪টি মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি সন্দ্বীপ উপজেলায়। এই মামলায় চালের ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ডিলারসহ তিন জনকে আসামি করা হয়। মিরসরাই উপজেলায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ত্রাণের চাল মুদি দোকানে বিক্রির দায়ে এক দোকানদারকে ওই মামলায় আসামি করা হয়। এছাড়া বস্তা পাল্টিয়ে বিক্রির ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ঈদগাহএলাকার একটি গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় চালের বস্তা উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গুদামের মালিকসহ তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
১২. সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে চাল চুরির ঘটনায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের কাছে নির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যান নেই। স্থানীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ টন চাল উদ্ধার হয়েছে। একজন ডিলার ও একজন ইউপি সদস্যসহ ৭ পাচারকারী আটক হয়েছেন। কাজিপুর উপজেলায় তিন ইউপি সদস্য আটক হলেও পরে অর্থদণ্ড করে মুচলেকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সদর উপজেলার বাগবাটি ইউপি সদস্য আল আমিন চৌধুরী ও নারী সদস্য আছিয়া খাতুন এবং চৌহালী উপজেলার জোতপাড়া ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামসহ ৪ জনপ্রতিনিধিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক আদেশে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলায় বিশেষক্ষমতা আইনে কমপক্ষে ১২টি মামলা হয়েছে। এদিকে, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করে। খবর পেয়ে গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জোহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক বলে পরিচিত ও ১০ টাকার চালের ডিলার আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ত্রাণের ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। ইউএনও ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা জব্দ করে এবং ডিলার আলাউদ্দিনকে আটক করে। তবে এ ঘটনায় শুধু ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর গত ২৭ এপ্রিল আরও ১২০বস্তা চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এরপরও ওই চেয়ারম্যানকেই প্রধান করে ওই ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের জন্য আবারও কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এরইমধ্যে আইনি নোটিশও দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। ১৩. সিলেট : সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে ওএমএসের ৫৭০টি বস্তায় প্রায় ২৮ মেট্রিক টন চালভর্তি ট্রাক আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চালভর্তি ট্রাকটি লুট করা হয় বলে অভিযোগে তোলা হয়। ২৬ এপ্রিল দুপুরের দিকেকালিগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জকিগঞ্জ থানায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের চালের ডিলারসহ আট জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ।
পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ৮ জনকে সোমবার (২৭ এপ্রিল) জকিগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের জানিয়েছেন, উপজেলার কনকপুর, মানিকপুর ও বারঠাকুরি ইউনিয়নে ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা দরে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু চক্রটি চাল বিক্রি না করেট্রাকে করে বাজারে নিয়ে যায়। এ সময় কালীগঞ্জ বাজারের উপস্থিত জনতার সন্দেহ হলে তারা ট্রাকভর্তি চাল আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় স্থানীয় কিছু লোক চাল লুটপাট করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করে। পরে মিল মালিকসহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে পুলিশ ৩৪৬ বস্তা চাল উদ্ধার করে। ট্রাকে ৫৭০ বস্তা চাল ছিল। ১৪. নওগাঁ : নওগাঁয় ৪৭৫ বস্তা বা ২৩ টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
চাল চুরির ঘটনায় তিন জন গ্রেফতার হয়েছেন। আর মামলা হয়েছে ৫টি। ১৫. নড়াইল : নড়াইলের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪০ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। আর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জন জনপ্রতিনিধিসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাল আত্মসাতের অভিযোগে জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জারজিদ মোল্যাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকেচেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। কালিয়ার নড়াগাতি থানার জয়নগর ইউনিয়নে ভিজিডির ১৫০ কেজি চাল আত্মসাৎ করে দোকানে বিক্রি করার অভিযোগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শেখ মোশারেফ হোসেন ও সংরক্ষিত নারী আসনের মেম্বার রনি বেগমকে ৩মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। জিআর-এর ২৮০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে কালিয়ার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি পলাতক। তাকেও চেয়ারম্যান পদ থেকেসাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দলীয় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া ওজনে কম দেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাহবাদ ইউনিয়নের ডিলার আসাদুজ্জামানকে দু’মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসাদুজ্জামান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দণ্ড হওয়ারপর তাকে ডিলারশিপ বাতিল এবং দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৬. ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬.৬৭ টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে। চাল চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকায় একজন নারী মেম্বারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৭. জামালপুর : জামালপুরে ১৩৯১ বস্তা চাল উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে প্রায় ৭০ টন চাল। এসব চাল চুরির ঘটনায় চারটি মামলা এবং ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। চাল চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকায় থানা যুবলীগ সদস্যপদ থেকে একজনকেঅব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১৮. রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪.০৩ টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডলের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাল উদ্ধারের পরস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ১৯. নেত্রকোনা : চুরি হওয়ার পর ৯৯ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে) চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় ৯০ বস্তা ও পূর্বধলা উপজেলা থেকে ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই জনকে। তারা ওএমএসডিলার। মোট দুটি মামলা হয়েছে। ২০. কুষ্টিয়া : চাল চুরির ঘটনা তদন্তাধীন থাকায় চুরি হওয়া চালের পরিমাণ জানা যায়নি। ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। আর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে একটি। বরখাস্ত হয়েছেন দুই জন জনপ্রতিনিধি।
তারা হলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান। ২১. খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে প্রায় আট মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। তাইন্দং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড (আচালং) মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জামাল হোসেনের দোকান থেকে ৪৭৭০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জামাল ও তারসহযোগী আবদুল কাদের পলাতক আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপর ঘটনায় জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মোমেনের কাছ থেকে ৯০০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আবদুল মোমেন পলাতক থাকলেও ব্যবসায়ী আবুল হাসেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তাদের বিরুদ্ধে মাটিরাঙা থানায় মামলা হয়েছে। দিঘিনালা উপজেলার মেরুংয়ে ২১০০ কেজি চাল চুরির ঘটনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জহিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জহির এখন পলাতক আছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী দেলোয়ারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত মূল হোতারা এখনও আটক হয়নি।
২২. নোয়াখালী : সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে ৭ বস্তায় ১৭৯ কেজি, সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে ১৫ বস্তায় ৪৫০ কেজি ও একই উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী কাবিলপুর ইউনিয়নের সড়কের একটি গ্যারেজে ৩ বস্তায় ৯০ কেজি সহ মোট ৭১৯ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দুই জন। পলাতক দুই জন। মামলা হয়েছে তিনটি। সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. শাহজাহান সাজু এবং তার সহযোগী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন খানকে চাল চুরি ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৩. মাদারীপুর : জেলায় ছয় টন (৬০৬০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে পাঁচটি। ২৪. কুড়িগ্রাম : প্রায় তিন টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে এই জেলায়। গ্রেফতার হয়েছে দুই জন। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে ৮৭ কেজি ত্রাণের চালসহ মঈফুল ইসলাম নামে এক দোকানদারকে চালসহ আটক করা হয়। ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ওই ইউনিয়নের পশ্চিম মাথা থেতরাই বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়াও গত ১৪ এপ্রিল কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ডাওয়াইটারী বুদ্ধির গ্রামে সামছুল হক নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ও দোকানে অভিযান চালিয়ে সরকারি খাদ্য সহায়তার ৬২ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) চাল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সামছুল হককে আটক করা হয়। ২৫. বাগেরহাট : জেলায় এক মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন দুইজন এবং মামলা হয়েছে দুইটি। শরণখোলায় পাচারকালে ১০ টাকা কেজি দরের ১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয় ৩ এপ্রিল রাতে। তাফালবাড়ি বাজার থেকে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এই চাল জব্দ করেন। এসময় গোডাউনে চাল রাখার অভিযোগে রায়েন্দা গ্রামের মজিদ মুন্সীর ছেলে লিটন মুন্সীকে আটক করা হয়।
তিনি এখনও জেল হাজতে রয়েছেন। অপরদিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রাম থেকে ১০ টাকা কেজি দরের চার বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এসময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। সে কারাগারে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দীন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোপানে তার কুসুম বাগানে কোন চোর, রাজাকারের উত্তরসূরি, স্বাধীনতা সপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারীদের স্থান নেই। আগে সোনার বাংলা পরে অন্যসব। সাধু সাবধান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply