মোহাম্মদ সিরাজুল হক সিরাজ, মহেশখালী :
বিশ্বের দরবারে সু-পরিচিত মৈনাক পাহাড়ের চুড়ায় আদিনাথের গয়াধাম, গঙ্গা-বিষ্ণু মন্দিরে প্রতিষ্টাতা রাম হরি (অক্ষয়) দাশের ত্যাগ তিতিক্ষার ও একক প্রচেষ্টার ফলে আদিনাথ মন্দির ধর্মীয় প্রতিষ্টানটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক ও যারফলে বছরে আদিনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষরা বহু লাগিয়তের টাকার মালিক হয়েছে। পাশাপাশি রাম হরির একক প্রচেষ্টায় আদিনাথ মন্দিরের পার্শ্বস্থ শ্রী শ্রী গয়াধাম, গঙ্গা-বিষ্ণু মন্দির, ব্যাসকুন্ড ও মহাশ্মশানের ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। সমুদ্্েরর ভয়াল থাবা থেকে আদিনাথ মন্দির রক্ষা করতে রাম হরি তার নিজের স্ত্রীর স্বর্নলংকার বিক্রি করে নিজে ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে ১৯৯২ সনে প্যারাবন সৃষ্টি করে। প্রতিষ্টাতা দাতা নুর মোহাম্মদ সিকদার হিন্দু ধর্ম, কিয়াং চিহ্ন রক্সার আদিনাথ জেটি রক্ষার একমাত্র ব্যক্তি রাম হরি এটা ঠাকুরতলা, জালিয়া পাড়া সহ সর্বস্থরের জনগনের উক্তি। সর্বস্থরের জনতা আরো বলেন, রাম হরির একক প্রচেষ্টার ফলে প্যারাবন হওয়ার কারনে ২ গ্রাম ঠাকুরতলা ও জালিয়াপাড়া রক্ষা, ঠাকুরতলা ও পাহাড় ঠাকুরতলা মৌজার ১৪১.৪৫ একর জমি সরকারের নামে ১নং খাস খতিয়ান নদী সিকস্থি হতে উদ্ধার করা হয়। উক্ত ১৪১.৪৫ একর জমি যদি সরকারে চিংড়ী হিসাবে বেেন্দাবস্ত দেওয়া হয় প্রতি বছরে সরকার খাজনা বাবদ ২ লক্ষ ১২ হাজার ১ শত পাঁচত্তোর টাকা পাবে আবার তা যদি পর্যটন হিসাবে প্লট বরাদ্ধ দেওয়া হয় সরকার জ্বালানি কাঠ বিক্রি করতঃ বছরে কোটি টাকা আয় করবে। ৫ শত একর জমি নদী ভরাট হওয়ায় বিগত ২৫ শে মার্চ/২০১৭ইং তারিখে ১৯৭১ইং গণহত্যার বধ্যভূমি হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বধ্যভূমি চিহ্নিত হওয়াতে ২ লক্ষ টাকার মাটি ভরাট করিয়াছি। বাংলাদেশে কোন সময় কোন পরিস্থিতি হয়ে থাকে কোন ঠিক ঠিকানা নাই সেই হিসাবে যাতে কোন হিন্দু ধর্মাবল্মীরা প্রার্থনা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং দুরে গিয়ে যাতে কোনন ধরনের হয়রানীর শিকার না হয় সেই চিন্তা করে রাম হরি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আদিনাথ মন্দির সংলগ্ন গঙ্গা, বিষ্ণু মন্দির ব্যাসকুন্ড মহাশ্মাশান নির্মান করেছে। রাম হরির সহযোগীতায় ২০০৬/২০০৭ ইং সনে ক্ষতিগ্রস্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী কাছ থেকে ১ দিনের বেতন ও রাম হরি আলাদা ভাবে সরকারের ত্রান তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করেন। পাশাপাশি গোরকঘাটা তহসিল অফিসকে ভুমিদস্যুদের গ্রাস থেকে রক্ষার্থে তহসিল অফিসের চর্তৃরপার্শ্বে গাছ রোপন করেছে রাম হরি। ঘুর্নিঝড়ে রাম হরির লাগানো গাছ মাটিতে পড়ে গেলে তা নিলামে টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দেন। এই সমস্ত কাজের উন্নয়নের জন্য মহেশখালী কৃষি ব্যাংক শাখা ও জি,পি ফান্ড ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে টাকা কর্জ নেয়া হয়। প্যারাবন হওয়াতে ঠাকুরতলা মৌজা .৪০ শতাংশ জমি বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০লক্ষ টাকা বিক্রি হচ্ছে এবং জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি পত্র ও লাগে। রাম হরি প্রতি বছর বনায়নের জন্য দরখাস্ত কারীদের কে পুরস্কৃত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, বনমন্ত্রী, বন সচিব, জলববায়ু অধিদপ্তর, ডি,এফ,ও,জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসার মহোদয়দের কাছে বিনীত অনরোধ জানিয়েছেন। এ যাবৎকাল সরকারী- বেসকারী খাতে অনেক আবেদন নিবেদন করার পরও সরকারী কোন সাহায্য পাওয়া যায় নাই। সরকারী সাহায্য সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। আদিনাথ মন্দির রক্ষা ও শ্রী শ্রী গয়াধাম, গঙ্গা- বিষ্ণু মন্দির, ব্যাসকুন্ড ও মহাশ্মশান প্রতিষ্টা করতে রাম হরি (অক্ষয়) দাশ ও তার পরিবার প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে সকলের সার্বিক সহযোগী প্রয়োজন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply