মীর আবু বকরঃ
সাতক্ষীরায় মাটির নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবহার ও ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট,আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরা কর্তৃক বাস্তবায়নের ও গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট,আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক-কৃষাণী অংশ গ্রহণে প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামসুন নাহার রত্না। তিনি বলেন, ফসলের খাদ্য ভান্ডার হলো মাটি ,কিন্তু অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে মাটির উর্বরতা শক্তি ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ফলে আশানুরুপ ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। মাটির উর্বরতা ও ফসল বৃদ্ধির জন্য মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমানে অধিক ফলন উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল সার তৈরি করে বিক্রি করছে। ফলে মাটির গুণাগত মান নষ্টের পাশাপাশি ফলন কমে যাচ্ছে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে হবে কোনভাবে ভেজাল সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে না।
প্রধান অতিথি প্রকল্পের পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বিনামূল্যে সার-বীজ সহ কীটনাশক বিতরণ করছে। এমনকি চাষীদের জন্য ভর্তুকি প্রদান করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন,মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি যেমন বিনাচাষে ডিবলিং ও ট্রান্সপ্লান্টিং পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ,চারা রোপণ পদ্ধ্বতিতে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ, বিনা চাষে গম ও সূর্যমুখী চাষ, কলস সেচ পদ্ধ্বতি,খামার পুকুর প্রযুক্তি, বর্ষাকালে ধানক্ষেতের আইলে সবজি চাষ করে কৃষকেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুবর্ন মোহণ ভাওয়াল।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply