শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১২:০৩ অপরাহ্ন

মাদকাসক্ত হামিদুলকে নিয়ে চাচা আছুর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ জুগিয়াবাসী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২১ Time View

 

 

হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের আধিপত্য বিস্তার করতে একের পর এক অঘটন চালিয়ে চলেছে। নিজের মাদকাসক্ত ভাতিজা হামিদুলকে নিয়ে আছুর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ জুগিয়াবাসী।

গত দু’বছরের জরিপে উঠে এসেছে পৌর ১৫ নং ওয়ার্ডে জুগিয়া মন্ডল পাড়া এলাকার মৃত শামসুর রহমান (সাবেক পোস্ট মাস্টা)’র পুত্র আছু ও তার ভাই সিদ্দিকের ছেলে মাদকাসক্ত হামিদুল (২৬) কে নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে।

গত ২১/০৩/২০২৩ইং তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে আছুর ভাতিজা রাতভোর নেশা করে মাতাল অবস্থায় তার লাইসেন্স বিহীন ফ্রিডম মোটরসাইকেল নিয়ে জুগিয়া হাটপাড়া এলাকার মৃত নুরুজ্জামান শেখের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম বাবলু শেখ (৬৫) কে তার নিজ বাড়ির সামনে হতে তার বাম পায়ে সজোরে আঘাত করেন। ধাক্কা খেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ দূরে ছিটকে পড়েন বাবলু শেখ। ধাক্কায় তার বাপ পায়ের হাড় গুলো ভেঙে পুরো আলাদা হয়ে যায়। সেই সময় মাদকাসক্ত হামিদুল পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরলে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে পরে।

যেহেতু বাবলু শেখের অবস্থা গুরুতর ছিল তাই তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ভেঙে যাওয়া পায়ের অবস্থা দেখে দ্রুত অপারেশনের সিদ্ধান্ত দেন। হাসপাতালে ৩ দিন ভর্তি রাখার পর জরুরী অপারেশনের বিলম্ব দেখে তাকে কুষ্টিয়া ট্রমা সেন্টার এন্ড স্পেশালাইজিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে দ্রুত সম্ভব অপারেশন করানো হয়। সব মিলিয়ে বাবলু শেখের প্রায় ১ লক্ষ টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করে সন্ত্রাসী আছু ও তার মাদকাসক্ত ভাতিজা হামিদুল।

বর্তমানে তিনি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত হামিদুল প্রায়ই নেশা গ্রস্ত অবস্থায় দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় এলাকা জুড়ে। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন রফিকুল ইসলামের ছেলে শেখ মো: নাজমুল হোসেন।

এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক, এই ধরনের মাদকাসক্ত ছেলেদের হাতে মোটরসাইকেল থাকাটা বিপদজনক। এমন কর্মকান্ড করা ব্যক্তিকে বাড়ির অভিভাবকেরা নিয়ন্ত্রণ না করাটা আইন অমান্য করার সামিল। সেই সাথে অঘটন ঘটিয়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখানোটা ভালো মানুষের কাজ নয়।

বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশ কাজ করবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগে জুগিয়া স্কুল পাড়া এলাকার এক ব্যক্তিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেধর মারপিট চালিয়ে তার হাত তিখন্ডিত করেন। পরে স্থানীয় সালিসি প্রক্রিয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মিমাংসা হলেও পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন সেই ব্যক্তি।

কারোর শাসন বারনের তোয়াক্কা না করে চাচা আছুর ছত্রছায়ায় এমন কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হামিদুলসহ। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি। আলোচনা সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে বাধ্য হয়েছেন ভুক্তভোগী বাবলুর পরিবার । এলাকাবাসীরা মনে করছে যদি আছু ও ভাতিজাদের আইনের আওতায় না আনা যায় তবে একের পর এক এমন অঘটন ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। তাই এখুনি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়