মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামের চাঁদনী আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ রোববার সকালে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে চাঁদনীর স্বামী ও তার পরিবারের লোকাজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে পাঁচখোলা গ্রামের আবুল হাওলাদারের মেয়ে চাঁদনীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বালিকা অবস্থায় বিয়ে হয় জাজিরা গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে রিয়াদের সাথে। ছেলে মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ায় মেয়ের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকা ও যৌতুকের জন্য চাঁদনীকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো তাহার স্বামী রিয়াদ। নেশা ও যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় শনিবার রাতে চাঁদনীকে পিটিয়ে হত্যা করে রোববার ভোরে স্বামী রিয়াদ ও তার পরিবারের লোকজন সবকিছু নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
প্রতিবেশিদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। চাঁদনীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। নিহত চাঁদনীর বাবা আবুল হাওলাদার বলেন, বিয়ের পর থেকেই নেশার টাকা ও যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মারধর করতো। সকালে শুনি আমার মেয়েকে মেরে ওর স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দুলুফা বেগম বলেন, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের নীচের অংশের জমাট বাধা রক্তের দাগ দেখা গেছে।মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ঐ গৃহবধূর স্বামীর ঘর থেকে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের পরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply