শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ধূমপান মানে জেনে শুনে বিষপান : বিভাগীয় কমিশনার মসজিদে প্রবেশ করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে সোনিয়া আক্তার ওরফে সনির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমের ব্যবহারে মুগ্ধ এলাকাবাসী রাজধানীর বনানী থেকে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৭ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে : তথ্যমন্ত্রী পূবাইলে যুগান্তররের সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতি, ২২দিন পেরোলেও মামলা নেয়নি পুলিশ গণমাধ্যমকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চায়

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ৮০ মিনিটের হিসাব দেবেন কি?

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৪৮ Time View

বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা ও এদেশের তিন তিনবারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার জীবনের মাত্র ৮০ মিনিটের হিসাবকে কেন্দ্র করে লেখা।

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ইং তারিখে দুপুর ৩.১৫ মিনিটে নির্ধারিত ইউএস বাংলার বিমান নং- বিএস ১৪৭ নং ফ্লাইটে আমার কক্সবাজার যাওয়ার কথা। ঠিক সময়ের মধ্যে গিয়ে আমি বিমানবন্দরের আভ্যন্তরীণ টার্মিনাল হয়ে সকল প্রকার চেকিং সম্পন্ন করে নির্ধারিত বিমানটিতে গিয়ে উঠে বসলাম। অবশ্য আগেরদিন আমার মোবাইল ফোনে একটি টেক্সট ম্যাসেজ এসেছিল, এই বলে যে, আগামীদিন একটি ভিভিআইপি মুভমেন্ট রয়েছে বিধায় আমরা যেন বিমান উঠতে কোন প্রকার দেরি না করি। আমি এবং সকল যাত্রী মিলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ইউএস বাংলার অথোরিটির সহায়তায় দুপুর ৩ টার মধ্যেই গিয়ে বিমানে উঠে বসলাম। বলা হয়েছিল যে, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের সময় বিকাল ৪ টায় সেহেতু আমরা সময়মত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারবো। ঘোষণা হলো- ক্রদের পক্ষ থেকে যেন আমরা সিটবেল্ট বেধে ফেলি আর উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, হঠাৎ সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির নির্দেশে আমাদের যাত্রা বিলম্ব হবে বলে ঘোষণা করা হল। আমাদের পাশাপাশি সময়ের আরও কয়েকটি ফ্লাইটের যাত্রাও থামিয়ে দেয়া হল সেবার।

খবর নিয়ে জানতে পারলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুভমেন্ট বিকাল ৪ টার সময়। তিনি আমাদের দেশের যোগ্য প্রাপ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমরা তার সুস্থ্যতা বা দ্বীর্ঘায়ু কামনা করি। আমরাও চাই যেন প্রধানমন্ত্রীর সিকিউরিটি যথাযথভাবে পালন করা হয়।
আমরা সকল যাত্রী সে সময়ে অপেক্ষা করছিলাম। আরো অন্তত ৪/৫ টি বিমান যারা রাজশাহী, চিটাগাং ও বিভিন্ন শহরের জন্য সম্পূর্ণ তৈরি ছিল, তারাও আমাদের মত অপেক্ষার পর অপেক্ষা করে নিরবে বসা ছিল।

অবশেষে আমাদের ফ্লাইটি ছাড়ার অনুমতি পেল বিকেল ৪.৩৫ মিনিটে। তাহলে দেখি একটু হিসাব মেলানো যাক। ৩.১৫ মিনিটের জাহাজটা ছেড়ে গেল ৪.৩৫ মিনিটে। তার মানে আমার জীবন থেকে সেবার নিরলসভাবে বেকার কেটে গেল ৮০ মিনিট। আর বিমানটিতে মোট সীট সংখ্যা ছিল ১৬৪ জনের। অবশ্য ক্রু আর কেবিন ক্রুগণ ব্যতীত আমরা সকলে মিলে যাত্রী ছিলাম ১৫৫ জন মাত্র।

এই হিসাব টানলে ১৫৫৮০ মিনিট অর্থাৎ মোট ১২,৪০০ মিনিট হারিয়ে গেল একটি উড়োজাহাজের যাত্রীগণের জীবন থেকে সেবার। আরও যদি ৫ টি বিমানের হিসাব টানা হয় তখনকার সময়ের তাহলে ১৫৫জনী৬ী৮০ মিনিট অর্থাৎ ৭৪,৪০০ মিনিট। আর ১২৪০ ঘন্টা মানে ৫১ দিন।

আমরা যদিও একটি হরতালকে বা অবরোধকে জাতির জন্য বিরোপ প্রতিকার বলে ব্যাখ্য করে থাকি। আমরা হরতাল, অবরোধের কারণে এদেশের কোটি কোটি টাকার লোকশান হয় বলে মনে করি। কারণ এতে মানবজীবনের উন্নয়নে চরম ব্যাঘাত হয় বলে আমরা বলে থাকি।

তাহলে এই যে ঘটনাটির কারণে কত মানুষের কত হাজারো মিনিট নষ্ট হয়ে গেল এদের জীবন থেকে তার জন্য দায়ী কে? যারা ব্যবসায়ী তারা নিশ্চয়ই তাদের কমবেশি লেকসান টানতে হয়েছে। যারা চাকুরিজীবী তারাও কমবেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। যারা লেখক বা গবেষক তারাওতো হারিয়েছেন তাদের জীবন খাতার কতটা পৃষ্টা যাতে লোকসানের হিসেবের পাতায় জমা হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা। আমার মনে হয়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অতি উৎসাহের কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে না জানিয়ে সকল ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। না হয় কয়েক বারে বোর্ডিং চেকিং সম্পন্ন করার পরে যে যাত্রীগণ বিমানের দরজা বন্ধ করে বিমানের ভেতরের কাজ সম্পন্ন করে বসে থাকেন, তাদের দ্বারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিকিউরিটির কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। আর একটি জাহাজ উড্ডয়নের পর তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যেই তার চলাচল হয়ে থাকে। যারা ক্রু অবশ্যই কয়েক মিটিটের মধ্যেই তারা রাজধানীর সীমানা ছাড়িয়ে চলে যাই বহুদূরে। সবচেয়ে বড় কথা সিভিল এভিয়েশনের রাডার তো যথেষ্ট আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তা দিতে। তাহলে আমরা যারা যাত্রী ছিলাম আমরা মনে করছি এসব বিষয় হয়তো বা অতি উৎসাহী কিছু অফিসারের নির্দেশে হয়েছে আর কারবার হয়েই যাচ্ছে। হয়তোবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব কিছুই জানতে পারেন না।

অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের আশায় আমার এই লেখা। একটি উন্নয়শীল দেশকে সার্বিকভাবে আরো সামনে এগিয়ে নিবেন বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা যথেষ্ট। আমার বিশ্বাস তিনি তার সিকিউরিটিকে আগামী দিনে যথাযথ যৌক্তিক নির্দেশ প্রদান করবেন।

     

 এমদাদুল হক খান
(বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ও মানবাধিকার কর্মী)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়