এস এম ফোরকান মাহামুদ,বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
“জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর” বাংলা ভাষার এই প্রবাদটিকে সামনে রেখে জন দরদী সমাজসেবীদের পথ চলা। অতীতে এ দেশ তথা বিশ্বের বুকে যত সমাজসেবী ও জনদরদী ছিলেন তাদের জীবন পর্যালোচনা করলে মুলতঃ এই প্রবাদটির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বলে গেছেন “সূর্য আমি ঐ দিগন্তে হারাবো, অস্তমিত হবো, তবুও ধরণীর বুকে চিহ্ন রেখে যাব”, তার এই উক্তিকেই অনেকে মূল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তাইতো ধরণীর তরে কেউ সামাজিক, কেউ রাজনৈতিক, কেউ অর্থনৈতিক, কেউ ধার্মিক, কেউ সমাজসেবা, কেউবা ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রেখে যাচ্ছেন তাদের স্ব-স্ব কর্ম পথিকৃত। আমরা আজ এমনি একজন লোকের সাক্ষাত পেয়েছি যিনি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরকে মাথায় রেখে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রেখে যাবার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে করে মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে সম্মানের সাথে স্মরণ করে।
তেমনি একজন পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ, সময়ের গুণাবলী, সময়ের শ্রেষ্ঠ সাহসী সন্তান,শিল্পপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ১ নং বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কালাইয়া গ্রামের পিতাঃ মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল লতিফ মোল্লার (সাত) সন্তানের মধ্য ছোট ছেলে রিগান মোল্লা।একজন প্রবাসী শিল্পপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
এলাকায় যেমনি দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্তের অধিকারী,তেমনি, সরল, সহজ ও কোমলমতি একজন সমাজ সেবক হিসাবে সমাজে সমধিক পরিচিত। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, দুর্নীতির ও মাদকএর বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ প্রচ্ছন্নতায় তিনি সমাজ সেবায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র কখনো তিনি এসবের কোনো প্রশ্রয় দেননি।
তিনি হাটি হাটি পা পা করে দ্রুত নিজেকে সমাজ সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এলাকার ছোটো বড় বৃদ্ধ বর্ণীতার প্রিয় মানুষ, গরীব দুঃখী সহ সমাজের সাধারন মানুষের সঙ্গী। অসহায় দরিদ্র মানুষের সহায়ক, তিনি হলেন বুকাবুনিয়ার কৃতিসন্তান রিগান মোল্লা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, জিও-এনজিও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মাহামারি করোনা কালীন সমায় বামনা উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের ৩৬ টি ওয়ার্ডে রিগান মোল্লার নিজের অর্থায়নে প্রায় ১৪০০ শত অসহায় কর্মহীন খেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সহ্ এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
তিনি এমনি একজন মানুষ, যাকে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ ভালো বাসেন। তিনিও তাদেরকে মনে প্রানে ভালো বাসেন। এলাকার সচেতন মহলের মুখ থেকে রিগান মোল্লার
বেশ সুনাম শোনা যায়।
তিনি সব সময় তার বামনা উপজেলার মানুষের সুখে দুঃখে এগিয়ে যান।
মানুষের সুখে দুঃখে তাদের সেবা করতে পারলে তিনি নিজেকে ভীষণ গর্বিত মনে করেন।
তার মতে, “আমি সাড়া জীবন সাধারন মানুষের সেবা করার জন্য সমাজ সেবা করে যাবো। আমার সমাজ সেবার প্রধান উৎসই হল আমার এলাকা বাসি তথা বামনা উপজেলা বাসি। আমি যেন আমার বামনা উপজেলা বাসির সুখ দুঃখের অংশীদার হয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারি”। তিনি এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উন্নয়নের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
তিনি ব্যবসার শুভাদে বেশিভাগ সময় প্রবাসে থাকলে সব সময় খোঁজ-খবর রাখেন এলাকার।তিনি বর্তমানে এলাকা বাসীর আরও অধিকতর সেবা দানের উদ্দেশ্যে বামনায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বামনা উপজেলার সকল পেশার শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকতে চান ইনশাআল্লাহ ।
রিগান মোল্লার এমন মানবিক আচরণ প্রশংসা করার দাবীদার এমনটি মনে করছেন সচেতনমহল।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply