সু/শা/ন্ত/হা/ল/দা/র
[পৃথিবীর সকল মাকে উৎসর্গিত]
যদি মরে যাই মা
রাখিস না মনে দুঃখ আর
দিয়েছি জ্বালা যন্ত্রণা শত ব্যথা বেদনা
খোদার আসন উঠেছে কাঁপিয়া
তবুও সন্তান ভেবে নিয়েছিস বুকে টানিয়া
স্বর্গীয় সুধায় তনুখানি নিয়েছি ভরিয়া
স্বার্থের টানে হৃদয় হয়েছে ফণিমনষা-ধুতুরা
কাঁটার আঘাতে জর্জরিত জগদ্ধাত্রীর পুণ্যাত্মা।
সুখের সময় বলিনি কিছু
মহা আনন্দে ঘুরেছি মদারুর পিছুপিছু
শান্তির নামে অশান্তি ডাকিয়া
ভেবেছি জীবন যাবে চলে তৈল মর্দন করিয়া
বেলা শেষে হিসেব করে দেখি
পঞ্চাশ বছরের হয়েছে সাজা।
যদি মরে যাই মা
রাখিস না মনে দুঃখ আর
ধরণীর বাতাস কার্বনে ভরা
মানুষগুলো ঠিক যেন অচেনা
আছে হাত-পা- চক্ষু-কর্ণ-নাসিকা
শুধু হৃদয়ে নেই বিবেকবোধ মানবতা
ঈশ্বর যদি করেন ক্ষমা, বলেন ভাবিয়া
হে বৎস্য! আবার পাঠাবো তোমায় মনুষ্য করিয়া
যদি খণ্ডাতে পারো পাপ
পাবে অপ্সরী আমার
খাদ্য, বাসস্থান যেথায় যা আছে সব তোমার
শুনে বুকে ধরেছে কাঁপন বারংবার
চেয়েছি ক্ষমা, হবো না মানুষ আর
নরকের অনলে যদি পুড়ে মরি হাজার বার
মা কসম!
মানুষ যেন করো না আমায়!
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply