আনিছ মাহমুদ লিমন :-
রাজধানী মিরপুরের দক্ষিণ কাফরুল এলাকায় মসজিদের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে প্রিয়তী প্রোপ্রার্টি লিঃ। জানা যায়, কাফরুল জামে মসজিদে ওয়াকফ কৃত জায়গাটির দৈর্ঘ ২৪ফুট ও প্রস্ত ১৮ফুট। উক্ত জায়গাটি ওয়াকফ করেছে মসজিদের নামে দেখা যায় প্রিয়তী প্রোপ্রার্টি লিঃ অন্যান্য মালিকাধীন জায়গার সাথে নিয়ে, ওই জায়সহ ১০তলা ভবন নির্মাণ করেছে। দক্ষিণ কাফরুল এলাকা বিমান বাহিনীর রান ওয়ের নিকট বর্তি হওয়ায় সেই এলাকায় ১০তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয় না। যাহার তফশীল পরিচয়ঃ- জিলা টাকা সাবরেজিষ্টার অফিস তেজগাঁওস্তিত ক্যান্টমেন্ট থানার অধিনে ঢাকা কালেকটার ৬১ নং তৌজিভূক্ত সাবেক ২৬৮ নং হালে ১০১নং মৌজা কাফরুল স্থিত সাবেক ৩৯৮ নং হালে ২৮৩ নং খতিয়ান ডিপি ১৯নং খতিয়ান ভূক্ত সাবেক ৯৯ হালে ৫৫০৫দাগে মোট জমির পরিমাণ সাড়ে ১১শতাংশ ইহার কাতে ওয়াকফ কৃত জমির পরিমাণ রয়েছে । উক্ত জমিতে প্রিয়তী প্রোপ্রার্টি লিঃ বহুতল ভবনটি নির্মাণ করেছে। যাহার হোল্ডিং নাম্বার হলো ৪৭৬ দক্ষিণ কাফরুল,ঢাকা ক্যান্টঃ। উক্ত জায়গাটির পক্ষে মসজিদের সভাপতি আলহাজ মুকুল আমিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে যাহার নাম্বার ১৬০/২০১৭ইং ও ১০৬/২০১৭ইং । আল্লাহর ঘর মুসলমানদের ইবাদত করার জন্য দান কৃত বা ওয়াকফ করা জায়গাটিতে কি ভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলো এটাই এলাকার জনগণ ও মুসল্লিয়ানদের প্রশ্ন। এলাকার সচেতন মহলের দাবী ওই জায়গাটির প্রকৃত হিস্সা ফিরিয়ে দিয়ে দায় মুক্ত হওয়ার আহব্বান। মসজিদের কর্তৃপক্ষে সন্দেহ জায়গাটি কি ফিরিয়ে পাবে বা তার সঠিক মূল্য পাবে মসজিদ। এসব লোকজনকেই বলে ভূইফোর, ভূমিদস্যূ বা ভূমি রাক্ষসে যাদের দিন দুনিয়ার ভয়নেই আল্লাহকে ভয় পায় যাদের মূর্ত্যুর ভয় নেই এরাই বে-দীন। মসজিদের সভাপতি আলহাজ মুকুল আমিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, উক্ত জায়গাটি দলিল করে দেয় আঃ কাদির যাহার সন তারিখ ছিল, ২৮/৫/৭৯ইং। বাকী জায়গার মালিকগণ যখন প্রিয়তী ডেভলাপমেন্ট লিঃ কে দেয় তখনও জায়গার ব্যপারে প্রতিবাদ করা হয়েছিল যার জমির মালিকগণ ও ওই প্রিয়তী প্রোপ্রার্টির লিঃ কোন প্রকার আমলে নেয়নি। রাজউক থেকে জায়গাটি প্লান পাশ করেছে ১৯/১/২০১৩ইং সনে প্লানে ৭তলা ভবন নির্মান করার কথা থাকলেও এখন সেটি ১০তলায় উন্নিত হয়েছে যাহা সরকারী ও বিমান বাহিনী অর্ধশিত এলাকার অর্ন্তভূক্ত এমনকি রান ওয়ের সংলগ্ন হওয়ায় তা আইন বর্হিভূত। পার্শ্বের রাস্তা ১২ফুট বাদ দিয়ে নির্মাণাধিন বিল্ডিং করার কথা থাকলেও তা অমান্য করে রাস্তার জায়গা দখল করে ১২ফুট থেকে ৪ফুট দখল করে রাস্তার উপর ওয়াল নির্মাণ করেছে যা সিটি কর্পোরেশনের আইনের বাইরে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন উক্ত জামে মসজিদের জায়গাটি যারা দিয়েছে এমনকি প্রিয়তী প্রোপ্রার্টির লিঃ এর মালিকগণ উক্ত বিল্ডিং এর ওয়ারিশগণ সকলে মিলে জায়গার মূল্য দিয়েদিতে পারেন তা না হলে আইনগত ভাবে বিচার বিভাগের চলে গেলে যদি মসজিদের কর্তৃপক্ষ না ছাড়া তবে বিল্ডিং ভাংতে হবে। ভেঙ্গে মসজিদের ন্যায্য পাওনা ফিরিয়ে দিতে হব্ ে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply