আনিছ মাহমুদ লিমন :
দেশে সন্ত্রাস দমনে প্রশাসনের সাফল্য থাকলেও নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি চাঁদাবাজের। সরকার প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনির প্রধানদের কড়া হুসিয়ারী সত্ত্বেও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ চাঁদাবাজ দমনে ব্যর্থ । মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সামনেই চাঁদাবাজরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে । এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যেন কেউ নেই। আবার প্রতিবাদ কেউ করলেও তাকে হেনস্তা হতে হয় ।
অভিযোগ রয়েছে , রাজধানী মিরপুর এক নম্বর সেকশনে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজী করছে কবির । প্রশাসনের নামে চাঁদাবাজী করে কবির এখন কোটিপতি । তার চাঁদাবাজির বিবরন দিতে গেলে হিমসিম খেতে হয় । ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে প্রতিদিন দেড় লক্ষাধিক টাকা আদায় করে কবির । মিরপুর ১নং সেকশনের মুক্তবাংলা মার্কেটের সামনে ফুটপাত ও রাস্তায় দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন প্রতি দোকান থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় হয় প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা । জিমার্ট মার্কেট থেকে শুরু করে মিরপুর নিউমার্কেট পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে প্রায় বিশ হাজার টাকা ।
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে চাঁদা আদায় করছে চল্লিশ হাজার টাকা । বাগদাদ মার্কেট হয়ে নূরানী মসজিদ পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে প্রতিদিন বিশ হাজার টাকা । ফেয়ার প্লাজা থেকে শুরু করে চিল্ডেন পার্ক (রাসেল পার্ক ) পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে পঁচিশ হাজার টাকা । সিটি কর্পোরেশন মার্কেট , কাঁচাবাজার ও শাহ আলী মহিলা কলেজ পর্যন্ত ফুটপাত ও রাস্তার দোকান থেকে প্রতিদিন কবির বাহিনী চাঁদা আদায় করে প্রায় ষাট হাজার টাকা । প্রত্যেক মার্কেটের সামনে থেকে চাঁদা আদায় করে কবিরের নিয়োজিত আলাদা আলাদা কর্মচারীরা । এছাড়াও কবির বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীর মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর চোরাই লাইন দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা ।
এসব চাঁদাবাজির ব্যাপারে কবিরের সাথে পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে তিনি জানায় এসব চাঁদার টাকার সিংহ ভাগই দিতে হয় প্রশাসনকে । প্রশাসনের কাদের কে এসব টাকা দিতে হয় জানতে চাইলে কবির বলে থানা পুলিশ , ডিবি পুলিশ , সিআইডি পুলিশ ও র্যাবের অনেককেই এ টাকা দিতে হয়। প্রশাসনের অনেক কর্তাব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে কবিরের মোবাইল ফোনে ।
কয়েক বছর আগেও কবির ছোট একটা পান সিগারেটের বাস্ক গলায় বেঁধে পান সিগারেট বিক্রি করত । বর্তমানে কবিরের ফুটপাতে রয়েছে প্রায় ২০টি দোকান প্রত্যেক দোকান কর্মচারি দিয়ে পরিচালনা করে । এসব দোকান দেখভাল করে তার ছোট ভাই । বড় ভাই দিয়ে পরিচালনা করে ৬টি গেন্ডারীর মেশিন । প্রতিদিন রাত ৯টার পরে ফেয়ার প্লাজার কবিরের নিজস্ব অফিসে বসে কবিরের চাঁদাবাজ কর্মচারীদের নিয়ে হিসাবে বসে ।
কবিরের গ্রামের বাড়িতে আলিসান বিল্ডিং বানিয়েছে এবং গ্রামের বাড়িতে কবির এখন বিশাল এক মার্কেটের মালিক । তার এসবের উৎস কি? উৎস একমাত্র চাঁদাবাজী । গ্রামের বাড়িতে ২০ টি হুন্ডা (মটরসাইকেল) ভাড়া দিয়ে রেখেছে , রয়েছে বেশ কটি মাইক্রো গাড়ি ও নাইট কোচ । কবিরের এসব ব্যবসার খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply