আনিছ মাহমুদ লিমন :
অবৈধ সংযোগে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব লাভবান হচ্ছে কতিপয় অসাধু চক্র। রাজধানী মিরপুর ১,২,১০ নাম্বারের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাতে রয়েছে শতশত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। এ সকল অবৈধ সংযোগের মধ্যে ১ নাম্বার সিটিকর্পোরেশন মার্কেটের চারপাশে বিভিন্ন ফুটপাতে জ্বালানো হচ্ছে হাজারও লাইট যে কারনে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব লাভবান হচ্ছে কতিপয় অসাধু চক্র। বরং এ সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারনে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ অনেকের। তারা বলছেন, দিনে চার থেকে পাঁচ বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযাচ্ছে, মিরপুর ১নং সিটিকর্পোরেশন মার্কেটের চারপাশের ফুটপাত দখল করে গজিয়ে ওঠা, ফলপট্রি, খেজুর পট্রি, মুড়িপট্রি, চিঁড়াপট্রি, প্লাস্টিক পট্রি, মুরগীপট্রি কলাপট্রির এ সকল জায়গাতে দেড়শতাধিক দোকান গুলোতে দেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। ফুটপাতের দোকান গুলোতে জ্বালানো হচ্ছে পাঁচ শতাধীক লাইট যে কারনে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে সরকারের। এক একটি দোকানে জ্বলছে চার থেকে পাঁচটি করে লাইট চলছে ফ্যানও। ছোট লাইট ৩০ টাকা বড় লাইট ৫০ টাকা আর ফ্যান বাবদ নেয়া হচ্ছে ৬০ টাকা করে। এ সকল ফুটপাতের দোকান গুলোতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে তা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নিচ্ছে মিরপুর ব্যবসায়ী সমবার সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন চাকলাদার খসরু তার নিয়োগকৃত লাইনম্যান আকবর (৪০) এর মাধ্যমে যা মাসে গিয়ে দারাচ্ছে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, একদিকে বিদ্যুৎ নেই, অন্যদিকে অবৈধ বিদ্যুৎ এর কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ঘটছে ব্যাঘাত। হাসপাতালেও লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েতে হচ্ছে নবজাতক ও অসুস্থ রোগীদের তারা ঠিক মতো চিকিৎসা নিতে পাচ্ছেনা। এছাড়া বিদ্যুতের অভাবে রাজধানীতে পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মিরপুর ১ নাম্বারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিনে-রাতে গড়ে এক ঘণ্টা করে ৪-৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে। পিক আওয়ারে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতারাও আসছেন না। ফলে কমে গেছে কেনাবেচাও পাশা পাশি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগকারিদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনঅনুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন তারা। বিদ্যুৎ চুরির দণ্ড ৩২ এর (২) ধারা বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করিলে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা চুরিকৃত বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ অথবা ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। তবে বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলছেন, যখন প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন, তখন কারা অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই অবৈধ লাইনের জন্য আমরা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব অবৈধ কাজকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেব না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সকল অভিযোগের বিষয় নিয়ে মিরপুর ব্যবসায়ী সমবার সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন চাকলাদার খসরুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টাকরা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply